স্বাস্থ্য কি এবং স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য হল শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার অবস্থা।  স্বাস্থ্য মানে শুধু মানুষের শরীরে রোগের অনুপস্থিতি নয়।

মানসিক স্বাস্থ্য: মানব স্বাস্থ্য বলতে মানুষের মস্তিষ্কের মানসিক স্বাস্থ্য বোঝায় যা চিন্তা করার ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের অঙ্গগুলি ভাল কাজ করে।  প্রতিটি মানুষের আলাদা চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি, বেদনা এবং কাজ আলাদা তাই মানুষের চিন্তাভাবনা আলাদা তাই মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য প্রত্যেকের জন্য আলাদা।  এই সময় মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।  উদাহরণস্বরূপ, যদি আমার একটি হাত কেটে যায়, তাহলে কী হবে?  হাত কাটার সাথে সাথেই ব্যথা মস্তিষ্কে সঞ্চারিত হবে।

শারীরিক স্বাস্থ্য: শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় যে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন বাহু, পা, পেট এবং পিঠের মতো ভাল কার্যকলাপ থাকাকে শারীরিক স্বাস্থ্য বলা হয়।  এক কথায়, শরীর ঠিক না থাকলে মা মেনে নিতে পারবেন।

আপনি যদি সবসময় সুখী হতে পারেন এবং নিজের উপর আস্থা রাখতে পারেন, তাহলে আপনি স্ট্রেস এবং মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেন।  কিন্তু বর্তমান সময়ে এক শ্রেণীর চিকিৎসক এলোপ্যাথিক ওষুধ বিক্রি করছে যার মাধ্যমে তারা ওষুধের মতো স্বাস্থ্য ঠিক করার নামে ব্যবসা চালাচ্ছে।  এখন কি করতে হবে?

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা প্রতিটি মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  স্বাভাবিকভাবেই, বিভিন্ন উপায়ে মানুষ তাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে, যেমন দৈনিক যোগব্যায়াম, ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম।  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খাবার যতই পুষ্টিকর হোক না কেন, যদি সূর্যের আলো মানবদেহে প্রয়োগ না করা হয় তবে প্রোটিন জড়িত হবে না কারণ মানবদেহে প্রোটিনের প্রায় 80% কিন্তু খাদ্য থেকে আসে না।  সূর্যের তাপ।  এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রোগের প্রকোপ কমায়।

একটি জিনিস মনে রাখতে হবে যে যে কোনও সুস্থ ব্যক্তি যিনি দেশ এবং দশকের উন্নতি করেন বা অন্য কোনও উন্নতি করেন অন্য একটি জিনিস যা তার সন্তানের জন্ম দিয়ে তার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তার মায়ের উপর নির্ভর করে।  হ্যাঁ, মা যদি সুস্থ, ফিট এবং সুন্দর হয়, তবে শিশুটি উত্সাহী এবং প্রতিভাবান।

স্বাস্থ্যের মানদণ্ড হল: উদ্যমী, স্বাভাবিকভাবে জীবনের বিভিন্ন কাজ মোকাবেলা করতে সক্ষম।  দুই: একটি আশাবাদী, সক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করতে পারে।  তিন: নিয়মিত বিশ্রাম নিন, ভালোভাবে ঘুমান।  চার: পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, বিভিন্ন অবস্থার সাথে মোকাবিলা করতে পারে।  পাঁচ: এটি সাধারণ ঠান্ডা এবং সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে।  ছয়: ওজন সঠিক, শরীরের সাংগঠনিক দিক সঠিক।  সাত: উজ্জ্বল চোখ, কোন প্রদাহজনিত রোগ নয়।  আট: দাঁত পরিষ্কার এবং তাজা, কোন ব্যথা নেই, মাড়ির রঙ স্বাভাবিক।  না: চুলে উজ্জ্বলতা আছে, খুশকি নেই।  দশ: হাড় সুস্থ, পেশী এবং ত্বক নমনীয়, হাঁটতে কোন অসুবিধা নেই।  এটি স্বাস্থ্য সম্পর্কে WHO এর দৃষ্টিভঙ্গি।

বর্তমান স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মেডিসিন হল মেডিসিন যেমন অ্যালোপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ইত্যাদি। এমন অনেক পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ তাদের স্বাস্থ্য ঠিক করার চেষ্টা করছে।  সরকার দ্বারা মানুষ অ্যালোপ্যাথিক ওষুধে আসক্ত হচ্ছে।  কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছে না যে সরকার আবারও বিভিন্ন ওষুধের আইন করেছে যেমন- কলকাতা পুলিশের ক্রিয়াকলাপগুলি ওষুধ ব্যবহার না করে হাসি, খেলাধুলা ইত্যাদির মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার কথা বলছে।

স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা: প্রত্যেকেই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।  কিন্তু একজন অস্বাস্থ্যকর ব্যক্তি প্রচুর অর্থের মালিক হলেও সুখী হতে পারে না।  স্বাস্থ্য জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন।  স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মানুষ তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে।  স্বাস্থ্যকর দরিদ্ররা অস্বাস্থ্যকর শব্দের চেয়ে বেশি সুখী।

চাবিকাঠি হল সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা।  ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, আধ্যাত্মিক ব্যবস্থা মানে সাধনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  গবেষণায় দেখা গেছে যে সহজ এবং ধার্মিক লোকেরা সুখী হয়।  অন্যদিকে, স্বাস্থ্য বজায় রাখার উপায় হল শরীরকে সর্বদা পরিষ্কার এবং পরিপাটি রাখা।  আপনাকে ভালোভাবে গোসল করতে হবে, আপনার শরীর ম্যাসাজ করতে হবে।  ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান।  মানবদেহের প্রয়োজন অক্সিজেন, রক্ত ​​সরবরাহ এবং খোলা বাতাস।

Add Comment

Skip to toolbar