আজকের বিশ্বে নারীরা এখনো অবহেলিত

আজকের বিশ্বে

নারীরা

এখনো অবহেলিত

বার্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরা এখন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।কিন্তু সে শিক্ষার বিন্দু মাএ মূল্য তারা দিতে পারছেনা।শুধুমাএ তারা মেয়ে বলে।মেয়েরা শিক্ষিত হয়ে কি করবে?তাদের কাজ তো সংসার চালানো।সংসারের কোন সিদ্ধান্তে কোন প্রকার দ্বিমুখী হতে পারবেনা।অন্যায় দেখনে তার প্রতিবাদ তো দূরেই থাক উল্টে সেই অন্যায়ের সহমত প্রকাশ করতে হবে।এটাই মেয়েদের জীবন

বার্তমান বিশ্বের প্রায় ৯৫% মানুষ এখনো কুসংস্কার বিশ্বাস করে।আর বাকি ৫% মানুষ এই কুসংস্কারের প্রতিবাদ করতে দিয়ে নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে একসময় নিজেই ঐ কুসংস্কারের কাছে মাথা নিচু করে পরাজিত হচ্ছে।তারা বিশ্বাস করতে পারেনা বা পছন্দ করতে না পেরে নিজেকেই নিজে হত্যা করছে।

এখন প্রশ্ন হলো,শিক্ষিত মানুষ যদি দেশ ও সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করতেই অক্ষম হয়,তাহলে এতো শিক্ষিত হয়ে কি লাভ?তবেতো মূর্থদের জীবনেই অনেক শান্তি। তারাই সুন্দর ভালে অন্যায় নিরবে সহ্য করে সবই মেনে নিচ্ছে।বর্তমানে শিক্ষিত পরিবারের অবস্থা খুবই করুন। তারা যখন স্থান পরিবর্তন করে অথাৎ,একটা মেয়ে যখন শিক্ষত হয়ে স্বামির বাড়িতে যায়,তখন তার ঐ শিক্ষার কোন দাম থাকেনা।তার শশুর বাড়ির মানুষের কাছে।

কারণ, যে নিরবে সকল অন্যায় মেনে নিতে পারে না।বিবেকের কাছে তাকে বার বার পরিক্ষা দিতে হচ্ছে।কথায় আছে শশুর বাড়ি। নিজের তো বাড়ি নয় যে,এখানে মেয়ের সঠিক সম্মান দেওয়া হবে।এক কথায় মেয়েরা হলো একপ্রকার ক্রয়ের বস্তু।যাদের কিনে নেওয়া হয় শুধুমাত্র অন্যের প্রয়োজনে।

তবে সবই পরিবারে মেয়েদের জীবন এমন নয়।এখনো অনেক পরিবার আছে যেখানে মেয়ে কিংবা বাড়ির বৌদের উপযুক্ত সম্মান ও দাম দেওয়া হয়।যেখানে এখনো মেয়েরা মাথা উঁচু করে সমাজে চলাচল করতে পারছে।

সেই সব পরিবারের বাবা ও ভাইদের জানায় বিনম্র শ্রদ্ধ্যা।একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, আপনার মেয়ে কিংবা বোনও একদিন অন্যের ঘরে যাবে।তাকে যদি নিজের পর দিন মানসিক ভাবে হেনস্তা হতে হয়,তখন আপনি বা আপনার কেমন লাগবো?

মেয়েদের উপযুক্ত সম্মান করলে সেই সমাজ কখনোই নষ্ট হবেনা।মেয়ে বা বৌদের নষ্ট করে বর্তমানের কিছু কিছু ব্যক্তি।যারা অন্যের সংসার নিয়ে একটু বেশিই ব্যস্ত।।

Add Comment