টিকটকেই শেষ দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট!

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহারও বাড়ছে। কিন্তু সব ইন্টারনেট কি উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে? উত্তর হচ্ছে, না।

ইন্টারনেট সেবাদাতা সংস্থা বলছে, পর্নোগ্রাফি, টিকটক, ফ্রি-ফায়ার কিংবা পাবজির পেছনে চলে যাচ্ছে দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট।

টিকটকেই শেষ দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট!

জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ২৬শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকই ব্যয় হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল গেম, টিকটক, লাইকি ও পর্নোগ্রাফি দেখার পেছনে।

তিনি বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটই ব্যবহার হচ্ছে পর্নো, গেমিং বুলিংয়ে।

টিকটকেই শেষ দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট!

ফ্রি-ফায়ার-পাবজির পর, টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এছাড়া নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য আইন করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

আরো জানুনঃ কিভাবে Tiktok Account Delete করবেন? শিখে রাখুন

ফ্রি-ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেইম কিশোর-তরুণদের আগ্রাসী করতে তুলছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ ওঠার পর সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজারের বেশি পর্নো সাইট আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এক কোটি গ্রাহক।

আরো জানুনঃ পাবজি ফ্রি ফায়ার বন্ধ করা হয়েছে: বিটিআরসি

Add Comment