সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (ইংরেজি: Search Engine Optimization) বা সংক্ষেপে এসইও (SEO) হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চ বা অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা বা সর্বোচ্চকরন করা যাতে এটি অনুসন্ধান করলে ফলাফলে প্রায়শই দেখা যায়। এসইও কোনো একক কাজ নয়, বরং বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত একটি পদ্ধতি, বলা যায় সমন্বিত পদ্ধতি। কি ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সাথে অনেক বিষয় জড়িত। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে প্রথমেই সাইটের জন্য এক বা একাধিক নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড (Keyword) বা শব্দগুচ্ছ বাছাই করতে হয়। কিওয়ার্ড বাছাই করার পূর্বে সময় নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। এমন একটি কিওয়ার্ড বাছাই করতে হয় যাতে এর প্রতিদ্বন্ধী কম থাকে। ধরা যাক অনলাইনে গেম খেলার একটি সাইটের জন্য যদি “Play Online Game” কিওয়ার্ড বাছাই করা হয়, তাহলে এই শব্দ দিয়ে গুগলে সার্চ করলে ১.৬ কোটি সাইটের ফলাফল হাজির হবে। তাদের মধ্যে হাজারও জনপ্রিয় সাইট পাওয়া যাবে যেগুলোকে অতিক্রম করে প্রথম পাতায় আসাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কিওয়ার্ডের সাথে আরো কয়েকটি শব্দ যদি যোগ করা যায় তাহলে দেখা যাবে প্রতিদ্বন্ধী ওয়েবসাইটের সংখ্যা কমে আসবে। কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণার জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে গুগল এডওয়ার্ডের কিওয়ার্ড টুলটি – https://adwords.google.co.uk/select/KeywordToolExternal ।
অন পেজ অপটিমাইজেশন:
সাইটের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড বাছাইয়ের পর এর বিভিন্ন অংশে এই কিওয়ার্ডটির প্রতিফলন থাকতে হয়। প্রথমত ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামে যদি বাছাইকৃত কিওয়ার্ডটি থাকে তাহলে সবচেয়ে ভাল। দ্বিতীয়ত HTML এর title ট্যাগে কিওয়ার্ড থাকা উচিত। সাইটের title ট্যাগটি ঠিকভাবে সাজানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অংশটি একজন ব্যবহারকারী এবং সার্চ ইঞ্জিনকে সেই পৃষ্ঠায় কি তথ্য রয়েছে তা নির্দেশ করে। তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওয়েবসাইটের “description” meta ট্যাগ। এর মাধ্যমে ওই পৃষ্ঠার সারমর্ম লেখা হয়, যা সার্চ ইঞ্জিনকে সঠিকভাবে সেই পৃষ্ঠা ইন্ডেক্সিং এ সহায়তা করে। এই ধরনের পদ্ধতিকে On Page Optimization বলা হয়, যা নিয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এলেক্সার রেংকিং কি ? এলেক্সার রেংকিং নিয়ে বিস্তারিত টিপস।
পেজরেংক:
PageRank বা সংক্ষেপে PR হচ্ছে গুগল কর্তৃক ব্যবহৃত এক ধরনের লিংক এনালাইসিস এলগরিদম, যা দ্বারা একটি ওয়েবসাইট কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারণ করা হয় এবং সার্চের ফলাফলে এটিকে প্রধান্য দেয়া হয়। গুগলের কাছে যে ওয়েবসাইট যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার পেজরেংক তত বেশি হয়ে থাকে এবং সার্চের ফলাফলে সেটি তত সামনের দিকে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্বোচ্চ পেজরেংক হচ্ছে ১০ এবং সর্বনিম্ন পেজরেংক হচ্ছে ০। গুগল টুলবারের সাহায্যে একটি সাইটের পেজরেংক জানা যায়। টুলবারটি এই সাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে – http://toolbar.google.com।
পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) ও ফ্রিল্যান্সিং
ইন্টারনেট বাণিজ্যের এই যুগে ওয়েবসাইট ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানকে তো কল্পনাই করা যায় না! আবার ওয়েবসাইট থাকলেই কিন্তু এখন চলেনা। এটি সর্বত্র পোছে দিতে ব্যাপক মার্কেটিংয়েরও প্রয়োজন হয়। একটি ওয়েবসাইটকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অন্যতম গুরত্বপূর্ণ একটি উপায়। দিন দিন বিশ্বব্যাপি যত ওয়েবসাইট বাড়ছে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজের ক্ষেত্রও অনেক বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও তাই দিন দিন বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ। আর এ হিসাবে ফ্রিল্যান্সার হতে চাওয়া তরুণ-তরুণীদের অন্যতম পছন্দ হতে পারে এ ক্ষেত্রটি। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপেসগুলোর তথ্যানুসারে, একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার মাসে ৫০ হাজার থেকে শুর করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। প্রয়োজন কেবল সঠিক নির্দেশনা, প্রচেষ্টা, ধৈর্য্য এবং সময়। বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এই পেশায় বেশ ভালো করছে। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কিত ব্লগ এসইওমজ-এর ডাটা অনুযায়ী প্রতি ১০০ জন ফ্রিল্যান্স সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারদের মধ্যে ২৩ জনই নারী। এসইও কি ? এসইও করে কি লাভ ? ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও, কিভাবে শিখবেন।
আর্টিকেল ক্রেডিট এবং রিসার্চঃ গুগল এবং freelancerstory , মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী।
https://techtunes.tech/freelancing-goppo/seo/tune-id/7533/
very importand