বিটিআরসি বন্ধ বললেও খেলা যাচ্ছে পাবজি-ফ্রি ফায়ার

বহুল আলোচিত পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো ক্ষতিকর অনলাইন গেম দেশে ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)

অডিট ফার্ম নিয়োগ দিলো বিটিআরসি

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেমগুলো এখনও আগের মতোই খেলতে পারছেন অনেকে। ডাউনলোড করা যাচ্ছে গুগল প্লে স্টোর থেকেও।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানান, ইতোমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য ‘ক্ষতিকর’ অ্যাপগুলোও বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধ এবং বাংলাদেশ থেকে লিংক সরিয়ে নেওয়ার জন্যও চিঠি দেওয়া হবে।

রাজধানী ঢাকা, নাটোর, জামালপুর ও মেহেরপুর, পাবনা কয়েকজন কিশোর-তরুণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ভিপিএন ছাড়াই আগের মতোই গেম দুটি খেলছেন। কেউ কেউ আবার গেম খেলার ভিডিও পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, আমি অফিস থেকে ফেরার পর বাসার নিচে দল বেঁধে ছেলেদের পাবজি ও ফ্রি ফায়ার খেলতে দেখলাম।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এগুলো বন্ধ করতে কিছুটা সময় লাগবে। বন্ধ করলেও কিছু সমস্যা (বাইপাস) রয়ে যায়। এজন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) সহযোগিতা লাগবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমের (ডট) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেম বন্ধ (ব্লক) করার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। গেমগুলো পুরোপুরি ব্লক করতে কিছুটা সময় লাগবে।

এর আগে ১৬ আগস্ট অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর সব অ্যাপ অপসারণ ও লিংক বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর পরই এসব অ্যাপ বন্ধের উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এ দেশে তো কেউ আর চলতে পারবে না। আইন অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই। আদালতের নির্দেশ পেলে বিটিআরসি পালন করবে।

Add Comment