ডিজিটাল প্রিন্টিং- এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বাংলাদেশে এই প্রযুক্তির সুযোগ ও সম্ভাবনা

মুদ্রণশিল্পের সামগ্রিক ইতিহাসের তুলনায় ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের ইতিহাস অপেক্ষাকৃত ছোট! কেননা ১৪৩৯ সালে প্রথম প্রিন্টিং প্রেস স্থাপন ও কার্যক্রম শুরু করলেও প্রথম ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস স্থাপিত হয় ১৯৯০ এর দশকে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রিন্টিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে কেননা নতুন বা পুরোনো, সব ধরণের ব্যবসা-এর প্রসারের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে এর যথাযথ প্রচার।

ব্যবসার প্রচারে কেবল ব্রশিওর বা ভিজিটিং কার্ড নয়, বরং ব্যানার, লেটারহেড, ভাউচারসহ আরো অসংখ্য মাধ্যম ব্যবহার করা যায়!

আরও বিস্তারিত জানুন উইকিপেডিয়া থেকে।

আর এসব প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রিন্টিং পদ্ধতি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

ডিজিটাল প্রিন্টিং পদ্ধতি: ডিজিটাল প্রিন্টিং পদ্ধতি জটিল সংখ্যা বা গাণিতিক সূত্রগুলোর সেট থেকে প্রতিটি ইমেজকে একত্রিত করে। এই ইমেজগুলো ডিজিটালাইজিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিন্দুগুলোর ম্যাট্রিক্স থেকে ধরা হয়, যা পিক্সেল নাম পরিচিত। এই ডিজিটালাইজড ইমেজগুলো ব্যবহার করে কালি, টোনার বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংগৃহিত ডাটা পুনরুৎপাদন করে সরাসরি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রিন্ট করে।

১৯৯৩ সালে প্রথম ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ‘ইন্ডিগো’ চালু করা হয় এবং রাতারাতি এই পদ্ধতি মুদ্রণশিল্পে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সূচনা করে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রিন্টিং: বাংলাদেশে মুদ্রণশিল্প অভাবনীয় উন্নতি লাভ করে ১৯৮০’র দশকে যখন কম্পিউটার প্রযুক্তি ঐতিহ্যগত মুদ্রণব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে। বাংলা কম্পিউটার কম্পোজ এবং প্রিন্টিংয়ের জন্য এখন অসংখ্য সফটওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরী হয়েছে। ডিজিটাল প্রিন্টিং পদ্ধতি অফসেট প্রিন্টিংএর অনেক কাজ, প্লেট তৈরী, প্রসেসসিং প্রভৃতিকে অপ্রয়োজনীয় প্রতিপন্ন করেছি। কেননা ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে এখন সরাসরি কম্পিউটার কমান্ড দিয়ে যেকোনোরকম প্রিন্ট খুব সহজেই করা যায়।

অর্থাৎ খুব সহজে, যেকোনো জটিল প্রিন্টের কাজ কম সময়ে সর্বাধিক পরিমান আউটপুটের জন্য তখন থেকেই ডিজিটাল প্রিন্টিং পদ্ধতি বাংলাদেশে সমাদৃত হয়ে আসছে।

আর বাংলাদেশে প্রিন্টিং জগতে আজাদ আর্ট হল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে সেই ১৯৬৯ সাল থেকে। অফসেট প্রিন্টিং দিয়ে শুরু করলেও ২০০২ সালে ডিজিটাল প্রিন্টিং এর সাথে যুক্ত হয়।

আজাদ আর্ট হল আউটডোর বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আপনাকে বিলবোর্ড থেকে শুরু করে ভিজিটিং কার্ড পর্যন্ত, যেকোনরকম সহায়তা করতে পারবে। আমরা আমাদের বিজ্ঞাপনগুলোতে মান এবং প্রাণ সংযোজনে বিশ্বাস করি এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে!

বর্তমানে আজাদ আর্ট হল, এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আপনারপ্রিন্ট.কমের মাধ্যমে অনলাইনে প্রিন্টিং সেবা প্রদানের সুবিধা চালু করেছে। ফলে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট অর্ডার করে ঘরে বসেই রিসিভ করতে পারবেন।

ইউরোপের বহুল ব্যবহৃত ডিজিটাল প্রিন্টিং বাংলাদেশে পরিচিত হতে সময় লাগলেও এটি বর্তমানে বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয় প্রিন্টিং পদ্ধতিঃ।

আর আপনারপ্রিন্টের কারণে অনলাইনে প্রিন্টিং সেবা সুবিধা সহজলভ্য হওয়ায় আপনি সহজেই নিজের পছন্দের ডিজাইন সিলেক্ট করে পেয়ে যেতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় অফিস সাপ্লাই বা অন্যান্য দরকারী প্রিন্টিং সামগ্রী।

Add Comment