একটি নতুন সিম কেনার পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুসরণ করা একান্ত জরুরি। এই পোস্টে জানবেন নতুন সিম কার্ড কেনার পর করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
কার্ড সাইজ চেক করা
বর্তমানের একেক ফোনে একেক সাইজের সিম সাপোর্ট করে। কোনো ফোনে আমরা মাইক্রো সিম দেখতে পাই, আবার কোনো ফোনে ন্যানো সিম দেখা যায়। আবার কিছু ফিচার ফোনে আগের দিনের মত বড় আকারের সিম ব্যবহৃত হয়। ফোনের সিম এর স্পেস অনুসারে নতুন সিম এর সাইজ হওয়া উচিত।
বর্তমানে সকল সিম কার্ড কেনার সময় উক্ত সিমের বিভিন্ন সাইজে ব্যবহারের যোগ্য করে সিম কাটা থাকে। তবে আপনার নতুন ক্রয় করা সিমটি যদি আপনার ফোনের সিমের স্পেস অনুসারে কাটা না থাকে, তাহলে আপনার ফোনের সাইজে নতুন সিমকে কেটে নিন বিক্রেতার কাছ থেকে।
একাউন্ট রিচার্জ করা
সিম কেনার পর সিম এক্টিভেট করতে প্রথম রিচার্জ করে দেওয়া হয়। উক্ত রিচার্জের মাধ্যমে নতুন সিমের ওয়েলকাম অফার পাওয়া যায়, তাই এই রিচার্জ ঠিক এমাউন্টে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় নতুন সিমের ওয়েলকাম অফার পাবেন না।
নতুন সিমের ওয়েলকাম অফার পেতে হলে সিম কেনার সময় কত টাকা রিচার্জে অফার একটিভ হবে তা জেনে নিন। এরপর উক্ত এমাউন্টের রিচার্জ করে ওয়েলকাম অফার ক্লেইম করুন। উল্লেখ্য যে সিম ফোনে প্রবেশ করানোর পর প্রথম রিচার্জের এমাউন্ট যদি ঠিকমত না মিলে তাহলে ওয়েলকাম অফার না ও পেতে পারেন। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য জেনে তারপর প্রথম রিচার্জ করা উচিত।
সিম পিন কোড সেট করা
সিমের সুরক্ষা নিশ্চিত করে উক্ত সিমের পিন কোড। তাই আপনি যদি আপনার সিমে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে চান, তাহলে নতুন সিমে পিন কোড সেট করে রাখতে পারেন। নতুন সিমে পিন কোড সেট করা বাধ্যতামূলক কোনো বিষয় না হলেও নতুন সিমে পিন কোড ব্যবহার সিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
নতুন সিমের প্যাকেটে বা সিমের গায়ে ডিফল্ট পিন কোড লেখা থাকে। উক্ত পিন কোড ব্যবহার করে সিম এর জন্য নতুন পিন কোড সেট করতে পারেন। পিন কোড সেট করার নিয়ম সম্পর্কে বাংলাটেক এর পোস্ট থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
সিম প্রিফারেন্স সেট করা
আপনার ফোনে যদি একাধিক সিম থাকে, সেক্ষেত্রে নতুন সিম ও ইতিমধ্যে থাকা সিম আলাদা কাজে ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। যেমনঃ নতুন সিমে হয়ত আপনি শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান ও আগে থেকে থাকা সিম থেকে কথা বলবেন।
সেক্ষেত্রে ফোনের সেটিংস থেকে ডুয়াল সিম সেটিংসে প্রবেশ করে কোন সিম কি কাজে ব্যবহার করতে চান তা সিলেক্ট করে রাখুন। এতে বাড়তি ঝামেলা ছাড়া ফোনে একাধিক সিম ব্যবহার বজায় রাখা যায়।
নতুন সিম অফার চেক করা
বিভিন্ন কারণে নতুন সিম ক্রয় করা হয়ে থাকে। নতুন সিম আকর্ষণীয় অফারের কারণেও অনেকে নতুন সিম কিনে থাকেন। দেশের যেকোনো অপারেটরের ক্ষেত্রে নতুন সিম ক্রয়ে পাওয়া যাবে অসাধারণ সব অফার।
এসব নতুন সিম এর অফার প্যাকেজ সময় ও অপারেটর ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। নতুন সিম এর এসব অফারে ইন্টারনেট, এসএমএস, টকটাইম, ইত্যাদি পাওয়া যায়।
কোনো সিম কেনার পর যে দোকানদার বা এজেন্ট থেকে সিম কিনছেন, তার কাছ থেকে উক্ত নতুন সিমের অফারসমূহ সম্পর্কে জেনে নিন। নতুন সিম এর অফারসমূহ জেনে উক্ত সিমের অফারসমূহকে সঠিকভাবে ব্যবহারে অনেক অর্থ সাশ্রয় হতে পারে।
👉 যে কোন সিমে মেসেজ এসে টাকা কাটা বন্ধ করার উপায় – সকল সিম
ব্যালেন্স ভ্যালিডিটি চেক
নতুন সিমে পাওয়া ফ্রি মিনিট বা ব্যালেন্স এর কারণে সিম কার্ডের ব্যালেন্সের মেয়াদ বা ভ্যালিডিটি অনেকের নজরে থাকেনা। এর ফলে অনেক সময় অজান্তে সিমের ব্যালেন্স এর মেয়াদ চলে যায়।
সিম এর ব্যালেন্সের মেয়াদ চলে গেলে উক্ত সিম থেকে আর কাউকে কল করা যায়না। এই সমস্যায় পড়তে না চাইলে নতুন সিম কেনার পর সিমের ব্যালেন্সের ভ্যালিডিটি চেক করা উচিত। সিম এর ভ্যালিডিটি ফুরিয়ে আসার আগে রিচার্জ করে আবার সিমের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
মিসড কল এলার্ট চালু করা
ফোন বন্ধ থাকলে বা নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত কোনো কারণে ফোনে আসা কল মিস হতে পারে। এই মিস হওয়া কলসমূহ সম্পর্কে নোটিফিকেশন হিসেবে এসএমএস পেতে মিসড কল এলার্ট সার্ভিসটি চালু করে রাখতে পারেন। মিসড কল এলার্ট সার্ভিসটি চালু থাকলে ফোনে আসা কোনো কল মিস করলে বা ফোন বন্ধ থাকলে এসএমএস মাধ্যমে তা জানতে পেরে যাবেন।
👉 ই-সিম কি? eSIM ব্যবহারের সুবিধা কি?
নাম্বার শেয়ার করা
একটি নতুন সিম ক্রয় করার পর উক্ত নম্বর নিজের বন্ধু ও পরিবারের সাথে শেয়ার করা একান্ত জরুরি যাতে তারা আপনার সাথে উক্ত নাম্বারে কল করে যোগাযোগ করতে পারে। একাধিক উপায়ে আপনার নতুন সিমের নাম্বার সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
প্রথমত বন্ধু বা পরিবারের মানুষজনকে কল কিংবা এসএমএস এর মাধ্যমে নতুন নাম্বার এর সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া বা চ্যাট গ্রুপেও আপনার নতুন নাম্বার শেয়ার করে কাছের মানুষদের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।