কম্পিউটারের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার :
প্রথমত At first, কম্পিউটারের কোন কাজ করতে গেলে সেটি প্রোগামিং সম্পন্ন হতে হয় বা করতে হয়। সাধারণত কম্পিউটারে দুই ধরণের সফটওয়্যার (সফটওয়্যার) থাকে। যেমন- (১) অপারেটিং সফটওয়্যার, (২) এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
আর সিস্টেম সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার সাধারণত হার্ডওয়্যারকে ব্যবহার করার পরিবেশ ঠিক রাখে। অপর দিকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কোন বিশেষ ধরণের কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার:
আসুন জেনে নেই কয়েকটি সিস্টেম সফটওয়্যারের (Some System Software) নাম। যেসব সিস্টেম সফটওয়্যার গুলি সফটওয়্যারের কাজের পরিবেশ ঠিক রেখে হার্ডওয়্যারকে সচল করে রাখে।
১। উইন্ডোজ এক্সপি (Windows XP)
২। উইন্ডোজ ভিসতা (Windows Vista )
৩। উইন্ডোজ সার্ভার (Windows Server)
৪। এমএস ডস (MS-DOS)
৫। উইন্ডোজ ৭ (Windows 7)
৬। উইন্ডোজ ৮ (Windows 8)
৭। উইন্ডোজ ৮.১ (Windows 8.1
৮। উইন্ডোজ ১০ (Windows 10))
৯। উইন্ডোজ ১১ (Windows 11)
১০। উইন্ডোজ ১২ (Windows 12)
১২। উইন্ডোজ ১৩ (Windows 13)
১৩। লিনাস্ক (linux)
১৪। মেকিনটোশ (Macintosh)
১৫। ইউনিক্স (Unix)
১৬। এ্যান্ড্রয়েট (এটি মোবাইলের জন্য – This is for mobile)
এবার আসুন এপ্লিকেশন সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নেই । পৃথিবীতে বহু ধরনের এপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Many Type Application Software) আছে। কিন্তু আজকে জানবো কিছু এপ্লিকেশন সফটওয়্যার সম্পর্কে।
১। মাইক্রোসফট অফিস (Microsoft Office)
২। মজিলা ফায়ার ফক্স (Mozilla Firefox)
৩। গুগল ক্রম (Google Chrome)
৪। ভিএসসি প্লেয়ার (VLC Player)
৫। টাইপিং মাস্টার (Typing Master)
৬। এডবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)
৭। এডবি রিডার (Adobe Reader)
৮। এডবি রাইটার (Adobe Writer)
৯। ভিস্যুয়াল বেসিক
১০। ভিস্যুয়াল স্টুডিও
১১। ভিস্যুয়াল ফক্সপ্রো
১২। ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ইত্যাদি।
কম্পিউটারে যখন কাজ করা হয় তখন ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার গুলির কিছু অংশ এগুলির ভিতর ঢুকে যায় এবং কাজ শুরু করে। তাছাড়া (Moreover) এমন কিছু প্রোগ্রামিং লেখা সম্ভব হয় যা এসব সফওয়্যারের কাজে বিপত্তি ঘটাতে সক্ষম।
অপর পক্ষে (On the other hand) এটি কম্পিউটারের কাজের ক্ষমতা এমন কি (Even) কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে নস্ট করতে দিতে পারে। এধরণের সফটওয়্যার যেহেতু ক্ষতিকর তাই এই সফটওয়্যারকে ম্যালিসিয়াস (Malicious) বলা হয়ে থাকে। সুতরাং (Therefore), এই ম্যালিসিয়াস (Malicious) সফটওয়্যারকে সংক্ষেপে ম্যালওয়্যার (Malware) বলে।
এই ম্যালওয়্যার এক ধরণের সফটওয়্যার যা কাজের ক্ষেত্রে বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করে থাকে। এই বাধাটি অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যারের জন্যও হতে পারে আবার এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও হতে পারে। আর শুধু যে এটা বাধা সৃষ্টি করে এমন নয়। কম্পিউটার থেকে তথ্যাদি চুরিও করে থাকে। এটি ব্যবহারকারীর অজান্তেই কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে।
কিছু ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার সফটওয়্যারের নাম:
কম্পিউটার ভাইরাসের নাম গুলি হলো-
১। ভাইরাস
২। ট্রোজান হর্সেস
৩। ডায়ালার
৪। এ্যাডওয়্যার
৫। রুটকিটস
৬। ওয়ার্ম
৭। কিলগার
৮। স্পাইওয়্যার ইত্যাদি।
ক্ষতিকরের দিক থেকে ওয়ার্ম ও ট্রোজান হর্স সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে এই ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার পরও দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এসব সফটওয়্যার সাধারণত শখের বসে, চ্যালেঞ্জিং, প্রতিবাদ, তথ্যাদি চুরি, অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্যই সাধারণত করা হয়ে থাকে।
ম্যালওয়্যার কেমন করে কাজ করে?
সাধারনত যেসব কম্পিউটারে সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ত্রুটি থাকে সেসব কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার সৃষ্টি সুযোগ থাকে বেশি। এছাড়াও ডিজাইনে গলদ কিংবা ভূল থাকলেও সফটওয়্যারটিকে অকার্যকর করার জন্য ম্যালওয়ার তৈরি করা সম্ভব হয়।
বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ম্যালওয়্যারের সংখ্যা অন্যান্য অপারেটিং সফটওয়্যারের তুলনা আরো বেশি হয়ে থাকে। এর একটি কারণ বিশ্বে উইন্ডোজ ব্যবহার কারীর সংখ্যা বেশি। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ভেতরের খবর কেউ জানে না।কাজে কোনো ভুল বা গলদ কেউ বের করতে পারলে সে সেটি কে ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার তৈরি করতে পারে ।ইন্টারনেটের বিকাশের আগে ম্যালওয়্যারের সংখ্যা খুবই কম ছিল। যখন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারকে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, তখন থেকেই ম্যালওয়্যারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ম্যালওয়্যারের প্রকারভেদ :
প্রচলিত ও শনাক্তকৃত ম্যালওয়্যার সমূহের মধ্যে নিম্নক্তো তিন ধরনের ম্যালওয়্যার সব চেয়ে বেশি দেখা যায়-
ক. কম্পিউটার ভাইরাস
খ. কম্পিউটার ওয়ার্ম
গ. ট্রোজান হর্স
কম্পিউটার ভাইরাস ও ওয়ার্মের মধ্যে আচারনগত পার্থক্যের চেয়ে সংক্রমনের পার্থক্য কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।কম্পিউটার ভাইরাস ও ওয়ার্মের মধ্যে আচারনগত পার্থক্যের চেয়ে সংক্রমনের পার্থক্যেকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন ধরনের ম্যালওয়্যার, যা কোনো কার্যকরী ফাইলের [Executable File] সঙ্গে যুক্ত হয়। যখন ঐ প্রোগ্রামটি [এক্সিকিউটিবল ফাইল] চালানো হয়, তখন ভাইরাসটি অন্যান্য কার্যকরী ফাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংক্রমিত হয়।
অন্য দিকে কম্পিউটার ওয়ার্ম সেই প্রোগ্রাম, যা কোনো নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে।অর্থাৎ কম্পিউটার ভাইরাস ব্যবহার কারীর হস্তক্ষেপ ছাড়া [অজান্তে হলেও] ছড়িয়ে পড়তে পারে না। যেমন, কোন পেনড্রাইভে কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ফাইলেই তা ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
যদি কোন কম্পিউটারে সেই পেনড্রাইভ যুক্ত করে ব্যবহার করা হয় তাহলেই কেবল পেনড্রাইভের ভাইরাসটি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। অন্য দিকে , ওয়ার্ম নিজে থেকেই নেটওয়ার্ক থেকে নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটওয়ার্কের কম্পিউটারকে আক্রান্ত করে।
ক্ষতিকর সফটওয়ারের উদ্দেশ্য তখনই সফল হয়, যখন কিনা সেটিকে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না ।এ জন্য অনেক ক্ষতিকারক সফটওয়্যার ভালো সফটওয়্যারের ছদ্মাবরণে নিজেকে আড়াল করে রাখে। ব্যবহার কারী সরল বিশ্বাসে সেটিকে ব্যবহার করে।
এই ভাইরাসটি হলো ট্রোজান হর্স বা ট্রোজানে পদ্ধতি। যখনই ছন্মবেশী সফটওয়্যার কাজ করে তখনই ট্রোজানটি কার্যকর হয়ে ব্যবহারকারীর ফাইল ধ্বংস করে অথবা নতুন নতুন ট্রোজান আমদানী করে।
কম্পিউটার ভাইরাসে ইতিহাস :
কম্পিউটারের এই ভাইরাস প্রোগ্রাম লেখার অনেক আগে 1949 সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ভন নিউম্যান এ বিষয়ে আলোকপাত করে। তার স্ব-পুনরুৎপাদিত প্রোগ্রামের ধারণা থেকে ভাইরাস প্রোগ্রামের আবির্ভাব হয়। তখন এই পুনরুৎপাদিত প্রোগ্রামকে প্রথমে ভাইরাস বলা হতো না।
আমেরিকার কম্পিউটার বিজ্ঞানী সর্ব প্রথম এই পুনরুৎপাদিত প্রোগ্রামকে ভাইরাস বলে সম্বোধন করেন ফ্রেডরিক বি কোহেন। জীব জগতেও ভাইরাস পোষক দেহের ভিতর নিজেই পুনরুৎপাদিত হতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাস ও নিজেই নিজের কপি তৈরি করতে পারে। ”আরপানেট” (ARPANET) নামে ইন্টারনেটে ”ক্রিপার ভাইরাস” নামক একটি ভাইরাস চিহ্নিত করা হয়।
এর বিপরীতে একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। সেটি হলো ”রিপার” (Reaper). আর এই রিপার এন্টিভাইরাস ক্রিপার ভাইরাসকে মুছে ফেলতে পারতো। আর ক্রিপার ভাইরাস যেখানে তৈরি হতো সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকত।
দ্বিতীয়ত, 1982 সালে ”এলক ক্লোনার” (ELK CLONER) ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু (But) ভাইরাস বিধ্বংসী আচরণ প্রথম প্রকাশিত হয় “ব্রেইন ভাইরাসের মাধ্যমে। সেটি ছিল 1986 সাল। পাকিস্তানী দুই ভাই লাহোরে এই ভাইরাস সফটওয়্যারটি তৈরি করে। আর এটি তৈরির পর থেকে প্রতি বছরই সারা বিশ্বে অসংখ্য ভাইরাস তৈরি হয়।
সারা বিশ্বের ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – পিংপং, ডার্ক, এভেঞ্জার, ব্রেইন, কোড রেড ওয়ার্ম, ডাপরোসি ওয়ার্ম, সিআইএইচ, জেরুজালেম, ভিয়েনা, মাইকেন এঞ্জেলো, এ্যানাকুর্নিকোভা ইত্যাদি।
ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের প্রকারঃ
পুনরুৎপাদনের জন্য যেকোন প্রোগ্রামকে অবশ্যই অবশ্যই তার নিজের কোড চালাতে হয়। এছাড়াও মেমোরিতে লিখতে হয়। অপরপক্ষে যেহেতু (One the other Hand) জেনে শুনে কেউ কোন প্রকার ভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করবে না।
তাই (So), এই ভাইরাস তার উদ্দেশ্যকে পূরণে একটি সহজ পদ্ধতি বেছে নেয়। আর তা হলো যেসকল প্রোগ্রাম নিয়মিত চালানো হয় সেগুলির পিছনে ভাইরাসটি নিজের কোডটি ঢুকিয়ে দেয়। আর যখন ঐ প্রোগ্রাম ব্যবহারকারী কাজ করে তখন সেই ভাইরাসটি সক্রিয় হয়ে উঠে।
কাজের ধরনের ভিত্তিতে ভাইরাসকে দুই ভাগে ভাগ হয়। কোনো কোনো ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠার পর, অন্যান্য কোন কোন প্রোগ্রামকে সয়ক্রমন করা যায় সেটি খুজে বের করে। তারপর সেগুলো কে সংক্রমন করে এবং পরিশেষে মূল প্র্রোগ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এগুলোকে বলা হয় অনিবাসী ভাইরাস [Non-Resident Virus] | অন্যদিকে, কোনো কোনো ভাইরাস সক্রিয় হওয়ার পর মেমোরিতে স্থায়ী হয়ে বসে থাকে। যখনই অন্য কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়, তখনই সেটি সেই প্রোগ্রামকে সংক্রমিত করে। এ ধরনের ভাইরাসকে বলা হয় নিবাসী ভাইরাস [Resident Virus] |
ভাইরাস আক্রান্তের লক্ষণ সমূহঃ
১। হঠাৎ করে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাওয়া।
২। কম্পিউটার রিস্টার্ট (Restart) নেওয়া।
৩। ফাইল গুলি নষ্ট হয়ে যাও।
৪। ফাইল হারিয়ে বা মুছে যাওয়া।
৫। অনেক সময় ফাইলগুলি দেখা যায় না। অথচ, মেমরিতে জায়গা দখল করে আছে এমন হওয়া।
৬। কম্পিউটারের মেমরি তথা হার্ডডিস্ক এবং পেনড্রাইভ ইত্যাদি মেমরি জাতীয় জিনিস গুলি ফরম্যাট (Format) না নেওয়া।
৭। হঠাৎ করে এ্যাড চালু হওয়া।
৮। কোন কোন সফটওয়্যার বা এ্যাপস অটো চালু হওয়া।
৯। সফটওয়্যার, এ্যাপস ঠিক ভাবে কাজ না করা।
১০। কম্পিউটার বা ভাইরাস আক্রান্ত সফটওয়্যার স্লো হয়ে যাওয়া।
১১। সফটওয়্যার গুলি কালো হয়ে যাওয়া।
১২। সফটওয়্যার বেশি বেশি দেখানো ইত্যাদি।
ম্যালওয়্যার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় :
বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ভাইরাস, ওয়ার্ম কিংবা ট্রোজান হর্স ইত্যাদি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। এ গুলোকে বলা হয় এন্টি-ভাইরাস বা এন্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার । বেশির ভাগ এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার বিভিন্ন ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও প্রথম থেকে এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার নামে পরিচিত। বাজারের প্রচলিত প্রায় সকল এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ভাইরাস ভিন্ন অন্যান্য ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকরী। সকল ভাইরাস প্রোগ্রামের কিছু সুনির্দিষ্ট ধরন বা প্যাটার্ন রয়েছে।
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এই সকল প্যাটার্নের একটি তালিকা সংরক্ষণ করে।সাধারণত গবেষণা করে এই তালিকা তৈরি করা হয় ।যখন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারকে কাজ করতে দেওয়া হয়, তখন সেটি কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন ফাইলে বিশেষ নকশা খুজে বের করে এবং তা তার নিজস্ব তালিকার সঙ্গে তুলনা করে। যদি এটি মিলে যায় তাহলে এটিকে ভাইরাস হিসাবে সনাক্ত করে।
যেহেতু বেশির ভাগ ভাইরাস সাধারণ কার্যকরী ফাইলকে সংক্রমণ করে সেহেতু সেই গুলিকে পরীক্ষা করেই অনেকখানি আগানো যায়। কিন্তু (But) এ পদ্ধতির একটি বড় ধরনের সমস্যাটি হলো নিয়মিত তালিকা হালনাগা না করা হলে ভাইরাস শনাক্ত করাটা কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই (So), নিয়মিত এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। আর এজন্য ভাল মানে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা জরুরী। বাজারে বিভিন্ন ধরণের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার পাওয়া যায়। তার মধ্যে থেকে ভাল সফটওয়্যারটি বেছে নিতে হবে। আমার জানামতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলির মধ্যে ক্যাসপারস্কি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার (Kaspersky Antivirus Software) ব্যবহার করাই ভাল। তবে, অন্যগুলিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
কয়েকটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের নামঃ নিচে কয়েকটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের নাম নিচে দেওয়া হইলঃ
১। ক্যাসপারস্কি (Kaspersky Antivirus)
২। এভিজি এন্টিভাইরাস (AVG Antivirus)
৩। এ্যাভাস্ট (Avast Antivirus)
৪। ই-স্ক্যান এন্টিভাইরাস (E- Scan Antivirus)
৫। ই-সেট এন্টিভাইরাস (E – Set Antivirus)
৬। ৩৬০ সিকিউরিটি এন্টিভাইরাস ( 360 Security Antivirus)
৭। স্মাদাভ এন্টিভাইরাস ( Smadav Antivirus)
৮। নর্টন এন্টিভাইরাস ( Norton Antivirus)
৯। পান্ডা এন্টিভাইরাস (Panda Antivirus)
১০। বিটডিফেনডার এন্টিভাইরাস (Bitdefender antivirus) ইত্যাদি।