কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়টি তাদের জন্যই, যাদের আগ্রহ আছে।এখন কম্পিউটারের যুগ।এই গোটা যুগটা কীভাবে কম্পিউটারের হয়ে যাচ্ছে – এ সম্পর্কে জানার ইচ্ছা যাদের আছে,তাদের জন্যই কম্পিউটার বিজ্ঞান।ছোটবেলা থেকেই এখন আমরা গুগলের সঙ্গে, বিভিন্ন কম্পিউটার গেমসের সঙ্গে পরিচিত হই।যেমন ধরুন,কোনো শুটিং গেমে আমি যখন মাউচ ক্লিক করছি,কীভাবে পর্দায় গুলির দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি?আবার,গুগলে কোনো কিছু লিখে খুঁজলেই কীভাবে গুগল আমাদের কয়েক সেকেন্ডে ফল এনে দিচ্ছে?এসব নিয়ে যাদের মাথায় চিন্তা আসে, যারা ভেতরের ব্যাপারগুলো জানতে চায়, তাদেরই কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়া উচিত।
কেন কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়বেন?
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজঃ
তো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের একদম বেসিক হল সি। তারপর আস্তে আস্তে লজিক ডেভেলপ করতে করতে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কোর্সে শিখানো হয় জাভা এবং এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন যা শিখে তোমরা কিন্তু মজার মজার মোবাইল এপ্লিকেশন বা গেমস বানিয়ে ফেলতে পার খুব সহজেই।
এর পর শিখতে হয় অ্যাসেম্বলি ল্যাংগুয়েজ। কম্পিউটার কিভাবে তার মেমোরিতে ডেটার হিসাব রাখে তা এই ল্যাংগুয়েজ পড়লে বোঝা যায়। আবার আমরা এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে ভাইরাসও তৈরি করে ফেলতে পারবো।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের নাম উঠলেই সবার আগে চলে আসে প্রোগ্রামিং শব্দটা। প্রোগ্রামিং কে ভাঙলে হয় প্রোগ্রাম করা। যে প্রোগ্রাম করে সে-ই প্রোগ্রামার। যেহেতু কম্পিউটার একটা বোকা যন্ত্র সেহেতু সে নিজে কিছুই করতে পারে না! ধর তুমি একটা গান শুনবে তোমার কম্পিউটারে, কম্পিউটারকে তোমার বলে দিতে হবে যে আমি এই গান শুনব। যেহেতু তোমার ভাষা কম্পিউটার বুঝবে না তাই একটু কষ্ট করে কম্পিউটারের ভাষায়ই তোমাকে বলতে হবে। আর কম্পিউটারের ভাষা হল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এই ল্যাংগুয়েজ দিয়েই বিভিন্ন সফটওয়্যার বানানো হয়। তোমার গান শোনার সফটওয়্যার থেকে যে কোন সফটওয়্যার।
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের একদম বেসিক হল সি। তারপর আস্তে আস্তে লজিক ডেভেলপ করতে করতে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কোর্সে শিখানো হয় জাভা এবং এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন যা শিখে আমরা কিন্তু মজার মজার মোবাইল এপ্লিকেশন বা গেমস বানিয়ে ফেলতে পারব খুব সহজেই।
এরপর শিখতে হয় অ্যাসেম্বলি ল্যাংগুয়েজ। কম্পিউটার কিভাবে তার মেমোরিতে ডেটার হিসাব রাখে তা এই ল্যাংগুয়েজ পড়লে বোঝা যায়। আবার আমরা এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে ভাইরাসও।
কিভাবে শিখবেন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজঃ
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনেক প্রোগ্রামিং সমস্যা দেওয়া থাকে, যেগুলো সমাধান করে জমা দেওয়া যায় ও ওয়েবসাইটের স্বয়ংক্রিয় বিচারক সেই সমস্যাটির সমাধান সঠিক হলো কি না, সেটি চট করে বলে দেয়। এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করাকে অনেকে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং বলে, কারণ বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় এ রকম সমস্যার সমাধান করতে হয়। তো প্রোগ্রামিং সমস্যার সমাধান করা মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়, এ জন্য অনেক ধৈর্য ধরে দিনের পর দিন লেগে থাকতে হয়, অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তারপরও সবাই যে জাতীয় পর্যায়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো করবে, এমন নয়। কিন্তু তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, কারণ আসল কম্পিটিশন তো হচ্ছে নিজের সঙ্গে। আজকের তুমি গতকালের তোমার চেয়ে যেন একটু ভালো হও, আর আগামীকালের তুমি যেন আজকের তোমাকে ছাড়িয়ে যাও। আজকাল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শত শত টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান তাদের ইন্টারভিউতে এমন সব প্রশ্ন করে, যেগুলো কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং চর্চা না করলে উত্তর দেওয়া অনেক কঠিন। তাই ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ের বিকল্প নেই।
প্রোগ্রামিংয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য আজকাল হ্যাকাথন, কোডস্প্রিন্ট, প্রজেক্ট কম্পিটিশন ইত্যাদি আয়োজন করা হয়। এগুলোতে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রেও অংশগ্রহণই বড় কথা। এসব ইভেন্টে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য কিন্তু পুরস্কার পাওয়া নয়, বরং নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, দলবেঁধে কোনো কাজ করা, একটা নির্দিষ্ট লক্ষ নিয়ে কাজ করে সেটা শেষ করার চেষ্টা করা এবং নিজের কাজকে অন্যদের সামনে উপস্থাপন করা। কর্মজীবনে প্রবেশ করার আগে এ ধরনের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের অনেক এগিয়ে দেবে। তাই বলে প্রতি মাসেই এ রকম আয়োজনে অংশ নিতে গেলে লেখাপড়া ও মূল প্রোগ্রামিং চর্চায় ক্ষতি হতে পারে। বছরে দু-তিনবার এ ধরনের আয়োজনে অংশ নেওয়াই যথেষ্ট।
প্রোগ্রামিং বিষয়টা খুব সহজ নয়। তবে চেষ্টা করলে কি না সম্ভব। যদি অধ্যাবসায় থাকে তাহলে আপনিও হয়ে উঠবেন একজন প্রোফেশনাল প্রোগ্রামার আর উজ্জ্বল হবে আমাদের দেশের নাম। তাই আসুন প্রোগ্রামিং শিখি আর অন্যকে এটা শিখতে উৎসাহিত করি। আর নিজেকে গড়ে তুলি একজন প্রোগ্রামার হিসাবে।
ছোটবেলা থেকেই আমার সপ্ন ছিলো আমি একজন প্রকৌশলী হবো।যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করতো-“বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও?” আমি বলতাম যে- ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।তখন বুঝতাম না ইঞ্জিনিয়ারের আবার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে।যখন আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম তখনই শুনলাম কম্পিউটার বিজ্ঞান এর কথা। আর আমার কম্পিউটার এর প্রতি আগ্রহটা বাড়তে শুরু করলো।তারপর জেএসসি পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেনীতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করলাম এবং এসএসসিতেও ভালোভাবে উত্তীর্ণ হলাম।আমি পড়াশোনার ফাঁকে কম্পিউটার এবং কোডিং শিখেছি।এখন আমি এইচএসসি ১ম বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রী।আমি কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে যেকোনো একটি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ইচ্ছুক।
আজ আমরা বই খুললে অনেক কিছুই জানতে পারি। আজ ইন্টারনেট এর যুগে আমাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক। তবে আমারা আমাদের ইতিহাস বদলাতে পারিনি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের মত আমরাও আমাদের প্রতিটি কাজ কে উন্নত করতে শিখেছি। দুই শতাব্দি আগেও আমরা অন্ধকারে বাস করতাম। আমাদের সামনে আলো নিয়ে আসল টমাস-আলভা-এডিসন। তিনি আবিষ্কার করলেন আমাদের সবচেয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসটি। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর যেন আমাদের বিজ্ঞান হয়েগেল লাগামহীন ঘোড়া। আবিষ্কার হতে থাকল যুগান্তকারী সব আবিষ্কার। এরপর গুগলিয়েলমো মার্কনি আবিষ্কার করলেন রেডিও। এরপর আসল টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টিভি ইত্যাদি। তবে এসকল আবিষ্কার কিন্তু রেডিওর অনেক প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তবে মানুষের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সফল আবিষ্কার হল কম্পিউটার। তবে এর আবিষ্কারের ধারনা টেলিভিশন এমনকি রেডিওর থেকেও অনেক পুরোনো। চার্লস ব্যাবেস এমন একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা করেন যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে। যদিও তার জীবদ্দশায় তিনি এর প্রয়োগ দেখে যেতে পারেননি।
কম্পিউটার সম্পর্কেঃ
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বর্তমান প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের আবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষনা স্বাক্ষর। প্রাগৈতিহাসিক যুগে গননার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল/ প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলাযায়। প্রাচীন কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তিতে গননার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়।অর্থাৎ অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে/ চীনে গননা যন্ত্র জিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়। ১৬১৬ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার (John Napier) গণনা কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি/ দন্ড ব্যবহার করেন । এসব দন্ড নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সর্ব ক্ষেত্রেই গুরুত্ব অনেক।কম্পিউটার বিজ্ঞান ছাড়া বর্তমান যোগাযোগ ব্যাবস্থা এত সহজ হতো না।