» আমাদের রমনা পার্ক (চলুন সবুজ সুশীতল ছায়ায় ঘুরে আসি)

ঁস

০১।

রমনা পার্কে গেলে মনে খুব শান্তি লাগে। করোনার আগে প্রায়ই যেতাম । আমার ছোট ছেলে তামীম। ছুটির দিন হলেই ঘুরতে যেতে চায়। আমি আবার দূরে কোথাও যেতে পারি না। তাকে নিয়ে সেই রমনা পার্ক পর্যন্তই। সেখানে গিয়ে একটা রেস্টুরেন্টের কাছে একটা দোলনা আছে, সেখানে মা বেটা দোল খাই। আমাদের প্রিয় জায়গা। একদিন রমনাপার্কের ভিতরে গিয়ে দেখি বাহির হওয়ার রাস্তা পাই না। তামীম গুগল ম্যাপ দেখে দেখে আমাকে বাহির হওয়ার পথে নিয়ে আসে। এসব গুগল ম্যাপে আবার আমি আগামাথা পথ বুঝি না। রমনাপার্কে গেলে খুব ভালো লাগে। মানুষের আনাগোনা, আড্ডা, বয়স্ক লোকদের হাঁটাহাঁটি খুব ভালো লাগে।

একদিন তাসীনের বাপরেও নিয়া গেছিলাম। উনি হাঁটেন আগে আগে আর পিছনে ছবি উঠাই। এই ছবিগুলো তার সঙ্গে গিয়ে তোলা। কী সুন্দর সবুজ দেখেন। অবশ্যই ভালো লাগবে। তখন ছিল আগস্ট মাস। বৃষ্টির বাদলার সময় প্রকৃতি যথেষ্ট সুন্দর থাকে। সবুজ দেখলে চোখের জ্যুতি বাড়ে। তো দেখতে থাকুন রমনা পার্ক। যেহেতু রমনা পার্ক সেহেতু প্রত্যেকটা ছবির সাথে ক্যাপশন দিলাম না। আর অফিস সময় প্রায় শেষ। ছবি পোস্টে সময় বেশী লাগে। এর জন্য ছবি পোস্ট দিতে পারি না ঘন ঘন।

০২।

০৩।

০৪।

০৫।

০৬।

০৭।

০৮। হেতে মোবাইলে কিতা দেখে কেটা জানে……

০৯।

১০।

১১।

১২।

১৩।

©কাজী ফাতেমা ছবি
=রমনা পার্ক বড্ড প্রিয় আমার=
সবুজে আচ্ছন্ন রমনাপার্কের অলিগলি,
এখানে সেখানে ফুটে আছে নানা রঙ ফুল কলি;
পরিচ্ছন্ন পথ, হাঁটি আনমনে, আমার বড় লাগে ভালো,
রমনা পার্কে পা রাখলেই মন বাড়িতে জ্বলে উঠে সুখালো।

এখানে ফাঁকা বেঞ্চে বসে আনমনা হওয়া যায়,
এখানে বর্ণিল গাছগাছালীদের সাথে কথা কওয়া যায়,
বেঞ্চে বসে চারিদিকে চোখ রাখলেই মানুষ দেখতে পারি,
আমি মানুষ দেখি, মন পড়ি আর কল্পনায় দেখি তাদের মন বাড়ী।

রমনা পার্ক, এখানে দোলনা আছে, ইচ্ছে হলেই যায় দোলা,
রমনা পার্কে মন রাখলেই আমি সুখে হই আত্মভোলা,
এখানে সবুজ ঘাসের উপর বকুল ফুল’রা সুখে খায় লুটোপুটি,
ফাঁকা বেঞ্চে বাদামী রঙ শালিক’রা বাঁধে জুটি।

দেখে যাই মানুষের আনাগোনা,
আমি আনমনা ভাবি, স্বয়ংক্রিয়তায় বুক জমিনে হয় সুখ বোনা;
রমনা পার্কের লেকে জলের আয়না গাছগাছালিরা মুখ দেখে নুয়ে,
পাতার ফাঁকে আকাশটাও থাকে জল ছুঁয়ে।

আমার ভালো লাগে, আমি হাঁটি ক্যামেরা হাতে,
আমি ভুলে যাই কেউ আছে, হাঁটছে সম্মুখে, আমি হারাই সবুজ আভাতে,
ক্লিকে ক্লিকে তুলে আনি সবুজ প্রকৃতি,
রমনা পার্কের সাথে আমার বাড়ে মনের প্রীতি।

রমনা পার্কের ঝিলের পাড়ে বসে বাদাম খেতেও ভালো লাগে,
সেখানে গেলেই সু সময়গুলো আনতে পারি মম বাগে,
সারি সারি গাছ, অচেনা ফুলের ঘ্রাণ
রমনা পার্কের প্রতি আছে ভীষণ মনের টান।

রমনা পার্কের গাছের ছায়ায় কত মানুষ গল্প আড্ডায় মত্ত
পারিবারিক সুখ আয়োজন, এখানে গেলেই মন উড়ে, মন আমার অনায়ত্ত,
এখানে ভেঁপু, টুংটাং নেই কোনো আওয়াজ
কান পেতে শুনি শুধু পাখিদের কুচকাওয়াজ।

রমনা পার্কের প্রতি আমার ভালোবাসা এক সমুদ্দুর,
আমি যেতে চাই বারবার সেখানে ছুঁতে বিকেল রোদ্দুর,
বাদাম খেতে চাই আনমনে বসে বসে, কিংবা এক কাপ চা,
রমনা পার্কে গেলেই সুখ রোদ্দুরে ভরে যায় মনের মাঁচা।

১৪।

১৫।

১৬।

১৭।

১৮।

১৯।

২০।

২১।

২২।

২৩।

২৪।

২৫। ঐ যে তাসীনে বাপ যাইতাছে আগে আগে……… আমি পিছে পিছে ছবি তুলি

২৬।

Add Comment

Skip to toolbar