★ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম ★
** তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ উপকারিতা**
!!! নিজে পড়ুন অন্য ভাইদের পড়তে উৎসাহিত করুন!!!
# জান্নাতের পথে আসুন। কল্যানের পথে আসুন #
আপনি মন থেকে কোনকিছু চাইছেন অথচ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আকুতিমাখা কান্না নিয়ে সেটা আল্লাহর কাছে বলছেন না তাহলে সেই চাওয়ার মাঝে কিন্তু অনেকখানি অপূর্ণতা থেকেই যায়। আপনি অনেক বড় গুনাহ্ করে ফেলেছেন বা বড় কোনো সমস্যায় পড়ে অন্যদের কাছে সাহায্য চাচ্ছেন, Facebook স্টাটাস দিচ্ছেন, Youtube বা Tiktok পোস্ট করছেন সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য। অথচ যিনি আপনার গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন, যিনি আপনাকে সাহায্যের জন্য ডাকছেন, তিনিই যখন সবচেয়ে কাছের আসমানে এসে আপনার মনের কষ্ট আর ব্যকুলতার কথাগুলো শুনার জন্য প্রস্তুত, তখন আপনি গভীর ঘুমে বিভোর হয়ে আছেন! তাহলে?
তাই গভীর রাতে পুরো পৃথিবী যখন নিরব নিস্তবদ্ধ তখন সিজদায় লুটে পড়ুন। নামায শেষে নিজের মনের সব কথা আল্লাহর কাছে বলুন। অত্যন্ত আজ থেকে শুরু করে দেখুন.. পার্থক্যটা নিজেই বুঝবেন..
☞ তাহাজ্জুদ নামাযের সময়:
অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশার নামাযের পর দু রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েয আছে। তবে তাহাজ্জুতের পূর্ণ মর্যাদা পেতে হলে শেষ রাতে উঠে সালাত আদায় করতে হবে।
☞ তাহাজ্জুদ নামাযের রাকাত সংখ্যা:
সর্বনিম্ন ২ রাকাত। আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাত বা তার চেয়েও বেশি পড়া যায়। তাহাজ্জুদের নামায আদায় করার পর বিতরের নামায আদায় করা উত্তম। রাসূল (সা.) তাহাজ্জুদের নামায বেশিরভাগ সময় ৮ রাকাত পড়তেন তারপর বিতরের নামায সহ মোট ১১ রাকাত পূর্ণ করতেন।
১। তাহাজ্জুদের নামায বিতর সহ ১৩, ১১, ৯ কিংবা ৭ রাকাত পড়া যায় (বুখারী, মুসলিম)
২। প্রথমে দু’রাকাত ছোট ছোট সুরা মিলিয়ে হালকাভাবে পড়ে আরম্ভ করবে (মুসলিম)
বি.দ্র.
যদি ইশার নামাযের পর বিতরের নামায পড়ে থাকেন তবে তাহাজ্জুদের নামায পড়ার পর বিতর নামায পড়তে হবে না। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৮ রাকাত বা তারও বেশি তাহাজ্জুদ নামায পড়তে পারবেন।