একটা জাতিকে ধ্বংস বা গোলাম বানানো প্রক্রিয়াই হচ্ছে Ideological subversion.
“Ideological subversion is a psychological warfare tool to change what people believe, or change the perception of reality. As an offensive tactic by hostile intelligence services, large quantities of misinformation and deception are used as weapons against competing nations or political systems.”-YB
এই কনসেপ্টটা সর্বপ্রথম উল্লেখ করেন চাইনিজ স্কলার Sun-tzu, 2500BC. তার মতে, সর্বোত্তম রণকৌশল হলো সেটা, যুদ্ধ না করেই যুদ্ধে জয়লাভ। শত্রুকে subvert করা।
Ideological subversion ৪টি ধাপে সম্পন্ন হয়।
@#Demoralization
@#Destabilization
@#Crisis
@#Normalization
=> Demoralization: এই ধাপ সম্পন্ন করতে ১৫-২০ বছর সময় লাগে। কারণ টার্গেট রাষ্ট্রের কমপক্ষে এক জেনারেশনকে ব্রেনওয়াশ বা Demoralization শিক্ষা দিতে হবে। (এই সময়ের মধ্যে এরা এতোটাই Demoralise হবে যে, তারা সাদা কালোর পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবেনা। তাদের ব্রেন এতোটাই প্রোগ্রামড যে, তাদেরকে Authentic তথ্য বা ছবি বা ভিডিও বা স্বচোখে দেখেও মানে চাইবে না। এরা দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, ধর্মীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব স্থানে অবস্থা করে দেশকে অচল করে দিবে।)
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে,
**Religion: ধর্মীয় মূল চেতনা ও মূল্যবোধ থেকে মানুষকে দূরে সরানো। যার জন্য কিছু ভূয়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ধর্মগুরুর আর্বিভাব করা।
**Education: তাদেরকে গণিত, রসায়ন, পদার্থ, ইত্যাদি Constructive শিক্ষা বাদে ইতিহাস বিষয়ক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, খাদ্য ও পুষ্টি ইত্যাদি non- constructive শিক্ষা দেওয়া।
**Social Life: ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গুলোকে ভূয়া প্রতিষ্ঠান দ্বারা replace করা।
**Power Structure: কিছু non-elective গ্রুপ active হয়ে ওঠে। যেমন: মিডিয়া। মিডিয়া কি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসছে? তারপরেও তারা জনগণের উপর হুকুম চালায়।
**Labour Relationship: Trade Union প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলো শ্রমিকদের বেতন, কাজের পরিবেশ, অধিকার ইত্যাদি নিশ্চিত করবে। কিন্তু এখন তার চিত্র ভিন্ন। উদাঃ এখন বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারিরা স্টাইক করলে পুরা দেশের মানুষ গরমে অর্ধমারা হয়ে যাবে। দেশে কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হবে। এই স্টাইকের পেছনে থাকে trade union. স্টাইকের কারণ কি? শ্রমিক অধিকার? আজ পর্যন্ত বহু শ্রমিক স্টাইক হইছে। কিন্তু শ্রমিকরা পাইছে শুধু মুলা। সবই ট্রেড ইউনিয়নের খেলা।
**Law & Order: ধীরে ধীরে মানুষ আইনের উপর আস্তা হারাবে।
এই প্রক্রিয়াটি ১৫-২০ বছর কারণ হলো ধীরে ধীরে মানুষের ব্রেনওয়াশ করা হয়।
এই প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বাকি ধাপ গুলো অটোমেটিকভাবে হয়ে যায়।
=> Destabilization: ২-৫ বছর সময় লাগে। এই পর্বটাকে radicalization বলা হয়। মানুষ সঠিক সিন্ধান্তে উপনীত হতে পারবে না। সব ক্ষেত্রে Fight Fight লেগেই ধাকবে। এমনকি পরিবারের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকবে। এই বিবাদ তাদেরকে কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাবে। মালিক-শ্রমিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ইত্যাদি বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে বিবাদ গেলেই থাকবে।
Military groupরা সাধারণ মানুষের উপর গুলি ছুড়বে। এবং ১৫-২০ যাবৎ যাদের ব্রেনওয়াশ করে প্রোগ্রাম করা হয়েছিলো, তারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে পৌছে যাবে। মিডিয়া, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
((**Economic:
**Law+ Military:
**Media:
**Foreign relationship:))
এই পর্বে No more acceptance.
=>Crisis:(৬ সপ্তাহ সময় লাগে) এই পর্বে সমাজ বা রাষ্ট্র ঠিকমত পরিচালিত হতে পারবে না। non-elected bodys ক্ষমতার দাবি করবে। এবং ক্ষমতা না দিলে জোর করে ক্ষমতায় যাওয়া চেষ্টা করবে।
অবশেষে সবাই একজন লিডারের খোঁজ করবে, যে তাদের এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করবে। ঠিক এই মুহুর্তে ব্রেনওয়াশকারীরা তাদের পছন্দ মত লিডার ক্ষমতার গদিতে বসিয়ে দিবে।
Crisis দুইভাবে হয় ১। Civil war 2। Invasion
=>Normalization: এই পর্বে সবকিছু normal. No more violence. দেশ stabilize বিরাজ করবে। কারণ সেই প্রোগ্রামড্ মানুষ, সমাজসেবী, মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্ব, লিডার ইত্যাদি সবাই, মোটকথায় সকল activist রা Eliminate হয়ে যাবে। এবং নতুন শাসকরা বিজয়কে পুঁজি করে শোষন শুরু করবে। proletariat proletariat freedom.
এই পুরো লেখা হলো Yuri Bezmenove(Tomas Shuman) নামক KGB এর সদস্যের সাক্ষাৎকারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিংক থেকে পুরো ভিডিও দুটি দেখে আসুন।