ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কোন স্কিল দিয়ে শুরু করবেন?

আজকের বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিং কি? নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবে? এই প্রশ্নগুলো খুবই কমন। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এতটুকু জানতে পারি যে, যারা অনলাইনে নতুন বা পুরাতন, হঠাৎ ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয়টা মাথায় এসেছে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কোনো উপায় জানা নেই। কিভাবে শুরু করতে হয়? আর ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে কী কী শিখতে হবে?

এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতেই আমাদের এই আয়োজন। আমরা পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা ও সহজ গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা প্রায় মানুষই বুঝি ফ্রিল্যান্সিং মানেই ‘অনলাইন ইনকাম ‘। আর ফ্রিল্যান্সিং সাধারণত অনলাইন ইনকামেই বুঝানো হয়। তবে অনলাইন ইনকাম অনেক ভাবেই হতে পারে।

যেমন : বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের সাহায্যে ক্লাইন্টের কোনো কাজ করে দেওয়া, অনলাইনে নিজস্ব কোম্পানির কোনো প্রোডাক্ট সেল করা বা নিজস্ব কোনো সার্ভিস প্রোভাইট করে অর্থ উপার্জন করা যায়। আবার ব্লগিং, ইউটিউব, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থেকেও বিভিন্ন ভাবে ইনকাম করার পদ্ধতি আছে। সব কিছুকেই এককথায় ফ্রিল্যান্সিং বলা যায়।

তবে কাজের ভিন্নতা আছে প্রতিটা সেক্টরেই। এক বা একাধিক বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। আপনি আপনার স্কিলকে যতবেশী ডেভেলপ করতে পারবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি তত সহজেই সফল হতে পারবেন।

তাই আমরা চিন্তা করেছি যে, বিগেনার লেভেল থেকে এডভান্স লেবেল পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে একটি স্কিল শিখিয়ে দেবো। যেটা শেকার পর আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এজন্য এমন একটা কাজ সিলেক্ট করেছি, যা সকল ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষই শিখতে পারবে। আবার এই কাজের চাহিদা অনলাইন ও অফলাইনে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। কাজটির নাম ”গ্রাফিক্স ডিজাইন”। এই কাজটি শেখানোর পর হাতে কলমে ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে চেষ্টা করবো।

আগামী পর্ব থেকে সরাসরি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা শুরু করে দেবো ইনশাআল্লাহ। আগামী পর্বের আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।

Add Comment

Skip to toolbar