করোনা ভাইরাস আতঙ্ক নয় দরকার সচেতনতা, কিভাবে ছড়ায়, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয় কী ?।COVID-19
করোনা ভাইরাস এখন এক বিশাল আতঙ্কের নাম
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক নয় দরকার সচেতনতা, কিভাবে ছড়ায়,
আসুন যেনে নেই করোনা ভাইরাস কি ?
করোনা ভাইরাস এক ধরনের সংক্রামক ভাইরাস । এই ভাইরাসটি নাক , মুখ ও চোখের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে । এই ভাইরাসের সংক্রমনে মৃত্যুও ঘটতে পারে । জনসমাগম স্থলে কাজ করেন এমন লোক , বৃদ্ধ , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম , ডায়াবেটিকস, হৃদ রোগ ও ফুস্ফুসের রোগে আক্রান্ত বেক্তিগন বেশি ঝুকিতে রয়েছেন ।
কিভাবে বুঝবেন করোনা হয়েছে কিনাঃ
জ্বর অনুভুত হওয়া
সর্দি , কাশি, গলা ব্যথা ও মাথা ব্যথা
শ্বাসকষ্ট অনুভূত হওয়া ইত্যাদি ।
কিভাবে ছড়ায় ?
• আক্রান্ত বেক্তির হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে
• আক্রান্ত বেক্তির থুতু ,কফ ও লালার মাধ্যমে
• আক্রান্ত বেক্তির সাথে আলিঙ্গন ও হাত মেলানোর মাধ্যমে
• আক্রান্ত বেক্তিকে স্পর্শ করলে বা করোনা ভাইরাস আছে এমন কোন কিছু (যেমন টেবিল, চেয়ার ,বই, কম্পিউটার, মোবাইল, দরজা ইত্যাদি) স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে মুখে , নাকে ও চোখে হাত দিলে ।
প্রতিরোধে করনীয়ঃ
• সাবান , হ্যান্ড ওয়াশ ও হ্যান্ড স্যনিটাইজার দিয়ে সথিকভাবে হাত ধোয়া
• হাত না ধুয়ে মুখ , চোখে ও নাকে স্পর্শ না করা
• হাঁচি ও কাশির সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা এবং ব্যবহৃত টিস্যু ময়ালাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলা
• ডাস্টবিনের ময়লাসমুহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা
• হাঁচি, কাশি আসেলে নাক ও মুখ কুনুইয়ের ভাঁজের মধ্যে দেয়া
• হাঁচি ও কাশিযুক্ত পরিধেয় পোশাক দ্রুত ধুয়ে ফেলা
• আলিঙ্গন ও হ্যান্ডশেক পরিহার করা
• ঠাণ্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত বেক্তির সংস্পর্শে না আসা
• যত্রতত্র কফ বা থুথু না ফেলা
• জনসমাগম স্থলে ডিউটির ক্ষেত্রে সাধারন মাস্ক পরিধান করা
• জ্বর , গা ব্যথা , সর্দি হাঁচি কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
• দরজার হাতল, লিফটের বাঁটন, ফোন, ইলেকট্রিক সুইচ ইত্যাদি স্পর্শ করারপর হাত ধুয়া বারবার পানি ও ফলের রস পান করা আইসক্রিম এবং বেশি ঠাণ্ডা কিছু না খাওয়া হাঁচি- কাশি , রোগীর সংস্পর্শে , টয়লেট ব্যাবহার, পশুপাখি স্পর্শ করার পর , টাকা ধরার পর, খাবার প্রস্তুত করার আগে ও পরে এবং খাবার পূর্বে ও পরে পরিষ্কার করে হাত ধুয়া করোনায় আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা ।