শ্রেষ্ঠ হ্যাকার জনাথন জেমসের জীবন কাহিনী

পৃথিবীর একজন বড় মানের হ্যাকার জনাথন জেমসের জীবন কাহিনী

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম, আশাকরি মহান প্রতিপালকের দয়ায় ও রহমতে সবাই ভালো ও সুস্থ আছো। টেকটিউনসের নতুন টিউনে আপনাকে স্বাগতম।

সবাই কে আজকের এই টপিকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের এই টপিক। বন্ধুরা পৃথিবীতে মানুষ ঠিক দুটি কারনে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে

  • ১. ভালো কাজের মাধ্যমে
  • ২. খারাপ কাজের মাধ্যমে।

ভালো কাজ করে বড় হওয়া অনেকের কথা আমরা জানি। কিন্তু খারাপ কাজ করে বড় হওয়া হিটলারের মতো আমাদের অনেক মানুষ নজর আর এড়ায় না। সেরকম আজ একজন দুনিয়া কাপানো হ্যাকারের জীবনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।

শ্রেষ্ঠ হ্যাকার জনাথন জেমসের জীবন কাহিনী

ইন্টারনেট জগতে আপনি কখনই নিরাপদ না। আপনি আপনার পাসওয়ার্ড যতই নিরাপত্তা দিয়ে রাখেন না কেন আপনি কখনই ১০০% নিরাপদ না এই অনলাইন জগতে।  পৃথিবীতে প্রতি মুহুর্তে কোন না কোন হ্যাকারের দ্বারা কোন সিস্টেম হ্যাক হয়।

জনাথন জেমস এবং হ্যাকিং

শ্রেষ্ঠ হ্যাকার জনাথন জেমসের জীবন কাহিনী

এই রকম দুনিয়া কাপানো একজন হ্যাকার জনাথন জেমস। জনাথন জেমস মাত্র ১৫ বছর বয়েসে মাত্র সারা বিশ্বকে কাপিয়ে দিয়েছিলেন। তার আরেকটি নাম আছে যেটি দিয়ে তাকে হ্যাকিং জগতের সবাই চিনে নামটি হলো (কমরেড)। তিনি Bellsouth Miami Dade American Defense এবং পরম শক্তিশালী NASA সহ আর অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিলেন।

চলুন এই জেমসের আরো কিছু পরিচয় জানা যাক। ছেলের ইচ্ছাতেই জেমসের বাবা তাকে কম্পিউটার কিনে দেন। তারপর তিনি কম্পিউটারের প্রতি খুব আসক্ত হয়ে পড়েন। ১৩ বছরের মাথায় ছেলের এমন অবস্থা দেখে কম্পিউটার কেড়ে নেন তার বাবা রবার্ট জেমস। জেমসের মনে হলো তার কাছ থেকে তার হার্ড উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে তখন তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

রাস্তার মোড় থেকে তার বাবাকে হুমকি দিবে বলেন আর বাড়ি ফিরবে না যদি তাকে কম্পিউটার ফেরত না দেওয়া হয়। মাত্র ১৪ বছরে প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করেন জেমস। জানতেন ইউনিক্স আর c প্রোগ্রামিং ভাষা। কম্পিউটার ক্লাসের পাশাপাশি তিনি ইন্টারনেট জগতে গুরতেন তিনি।

আর এই বিদ্যার উপর ভর করেই এক বছরের মাথায় হ্যাক করেন Nasa ও আর প্রতিরক্ষা বিভাগের ওয়েব সাইট। ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ২৭ অক্টোবর বরের মাঝে জেমস তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভাইরাস সম্পর্কে তার চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক দূর নিয়ে যান।  এমন কি তিনি তখন মাত্র ১৫ বছর বয়সে Bellsouth, Miami dade American defence এবং Nasa ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিলেন।

এছাড়া সে ব্যাক ডোর কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ডালাস এবং ব্রিজিনিয়া সার্ভারে একটি স্নাইফার ইন্সটল করার রেছিলেন যার মাধ্যমে তিনি ঐসব স্থানের প্রায় ৩ হাজার তথ্য চুরি করেন। তার জন্য জেমস কে জেলেও যেতে হয়েছিল। জেমস Nasa ওয়েবসাইট  হ্যাক করায় Nasa যে প্রায় ৪১ হাজার ডলার গুনতে হয়।

পরে পুলিশ জেমসের বাড়িতে অভিজান চালায় পরে থাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। মুক্তির পর থাকে ১৮ বছর পর্যন্ত কড়া নজরে রাখে। ২০০৭ সালে Tj একটি ওয়েবসাইটে বেশ বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটে তাছাড়া আরও বেশ বড় বড় ওয়েবসাইটে এরকম ঘটনা ঘটে।

যদিও জেমস অস্বিকার করেন এর সাথে তিনি জড়িত নন তবুও তাকে বিভিন্ন তদন্তের সম্মখীন হতে হয়েছিলো। তারপর তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখেন এই ঘটনার সাথে J J নামে কেউ জড়িত নামের সাথে মিলে যাওয়ায় জেমস তাদের প্রধান লক্ষ্যে পরিনত হয়। পরে  নিজেকে নির্দুশ প্রমান করার মতো কোন রাস্তা না থাকায় নিজের মাথায় নিজে পিস্তল টেকিয়ে আত্নহত্যা করেন।

Add Comment

Skip to toolbar