অনলাইন ইনকাম ও সেরা ৫ টি উপায়

টাকা প্রতিটি মানুষের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমরা প্রত্যেকেই হাজারো উপায়ে টাকা খরচ করতে পারি।।
কিন্তু টাকা কামানোর কয়টা উপায় আমরা জানি। হয়তো এমন অনেক থাকবেন যারা টাকা আয়ের পথ কেবল সরকারি চাকরি বা কর্পোরেট কোম্পানি জবকেই ভেবে থাকেন।
তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে অনলাইন যে টাকা কামানোর বিরাট একটি প্লাটফর্ম সেটা বহু লোকের জানা থাকলেও অনেকে হয়তো জানেন না।
আবার এমন অনেক লোক আছেন যারা অনলাইন ইনকাম আয়েক কথা জানেন কিন্তু কোন পথে আয় করবেন সেটা জানা নাই।
তাই আজ আমরা আলোচনা করছি অনলাইন থেকে টাকা আয়ের ৫ টি সেটা উপায় নিয়ে। আশা করি সবার জন্য উপকারী হবে।

ব্লগিং ইনকাম – একটি সৃজনশীল পেশার বিস্তৃত দিগন্ত

ব্লগিং ইনকাম নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেি জানতে হবে ব্লগি আসলে কি?
ব্লগিং হলো একটি দিনলিপি। আপনার দৈনন্দিন জীবনের নানান বিষয় লিখে আপনি অনলাইনে প্রকাশ করাটা ব্লগিং।
অথবা আপনি যে সাবজেক্টে পারদর্শী সেই সাবজেক্টে লিখতে পারেন। হোক সেটা গল্প কবিতা টিপস প্রবন্ধ ইত্যাদি যে কোনো কিছু।
তাই বলা চলে ব্লগিং একটি সৃজনশীল কর্ম। আপনি আপনার মনের কথাগুলো সন্দর করে সাজিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে প্রকাশ করবেন।
যতো সুন্দর ও সৃজনশীল হবেন এবং ইনফমেটিভ কথা লিখবেন ততো আপনার আপনার ভিসিটর বৃদ্ধি পাবে।

ব্লগি করতে কি কি লাগবে

১. একটি ওয়েব সাইট
২. একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার অথবা ভালো মোবাইল
৩. নেট কানেকশন
৪. লেখা লেখির যোগ্যতা ও মানসিকতা
৫. প্রচন্ড ধৈর্য শক্তি

কীভাবে ব্লগিং করে ইনকাম করা হয়

১. এডসেন্স
২. এফিলিয়েট
৩. স্পন্সর
৪. ব্যাকলিংক সেল
৫. ওয়েব সাইট সেল
ইউটিউব ইনকাম –
আপনি যদি নিজের পরিচিত এবং সেই সাথে টাকা কামাতে চান তবে ইউটিউব হতে পারে আপনার বেস্ট চয়েজ।
একটি ইউটিউব চ্যানেল করা যাবে অল্প সময়ের মধ্যে। আপনার ইন্টারেস্ট ও কর্ম ক্ষমতার ভিত্তিতে চ্যানেল ক্রিয়েট করবেন
যদি আপনি বিভিন্ন টিপস দিতে ভালোবাসেন তবে টিপস রিলেটেড চ্যানেল আর যদি ভ্রমন ভালোবাসেন তবে সেই বিষয়ে অথবা আপনি অন্য যে সাবজেক্টে কাজ করতে ইন্টারেস্ট ফিল করেন সেই বিষয়ে চ্যানেল ক্রিয়েট করবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকামের উপায়
ইউটিউব চ্যানেল থেকে নানান উপায়ে টাকা কামানো যায়। আমি বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি উপায় নিচে তুলে ধরছি।
১. গুগল এডসেন্স
২. এফিলিয়েট
৩. স্পন্সরশিপ
৪. চ্যানেল বিক্রি
ইউটিউবিং করতে কি কি লাগবে
১. ভিডিও এডিটিং ও মেকিং
২. একটি ভালো মোবাইল বা কম্পিউটার
৩. একটি ইউটিউব চ্যানেল
৪. ধৈর্য শক্তি
৫. ক্রিয়েটিভিটি

ফ্রিল্যান্সিং – মুক্ত পথে টাকা আয়

ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানি বা ব্যক্তির অধীনে না থেকে মুক্ত পথে কাজ করা।
আমরা উপরে দুটি বিষয়ে আলোচানা করে এসেছি। ঐ দুটি বিষয়ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এখানে আমি ফ্রিল্যান্সিং দ্বারা কেবল বায়ারের কাজ করাকে বুঝাচ্ছি।
কেননা ব্লগিং ও ইউটিউবিং যদিও ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু সেখানে কাজ করা হয় নিজের জন্য।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কি কি কাজ পাওয়া যায়
এই সেক্টরে কাজের অভাব নেই। আপনি যে সাবজেক্টে স্কিল তৈরি করবেন সে সাবজেক্টেই প্রচুর কাজ পাবেন।
যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, পোগ্রামিং ভিডিও এডিটিং আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি।
এগুলো হলো মেইন ক্যাটাগরি এর অধীনে আরো অসংখ্য সাব ক্যাটাগরি আছে। নিচে কয়েকটি মার্কেটপ্লেসর লিংক দিচ্ছি। এই লিংক থেকে ঘুরে দেখে আসে পারেন।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
এই মার্কেটপ্লেসগুলো ঘাটাঘাটি করলে হাজারো কাজের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনার নিজের পছন্দসই টপিকে কাজ শিখে অনলাইন ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
তবে সব সময় যে বিষয়টি আপনার মাথায় রাখবেন অনলাইন ক্যারিয়ার যেমন একদিন দুদিন বা এক মাস দু মাসে গড়া যায় না তেমনি ধৈর্যহারা হওয়া যাবে না।
এখানে মাসের পর মাস বছরের পর বছর কাজ করে যেতে হবে। যদি আপনি এমন মানসিকতা নিয়ে কাজে নামতে পারেন। তবে ইন ফিউচারে আপনি সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন একটি  সাকসেস স্টোরি।

Add Comment