বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নের বেশি মেশিনে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের বিভিন্ন সংস্করণ পরিচালিত হয়। বাজারে যখন উইন্ডোজ ১১ প্রবেশ শুরু করে তখন থেকে অপারেটিং সিস্টেমটির প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে।
তবে সবাই উইন্ডোজের নতুন সংস্করণ আপগ্রেড করতে পারেন না। কারণ, অনেক পুরাতন কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১ ইনস্টলের জন্য প্রয়োজনীয় নূণ্যতম শর্তাবলী পূরণ করে না।
তবে অনেকের কাছে কম্পাটিবল পিসি না থাকায় অপারেটিং সিস্টেমটির আনঅফিশিয়াল কপি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। তবে এতে ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য হাতিয়ে নেয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
আনঅফিশিয়াল ইনস্টলার
যদি আপনার পিসি উইন্ডোজ ১১ সমর্থন না করে, তাহলে নতুন পিসি কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে ভুয়া ওয়েবসাইট কিংবা লিংক থেকে আনঅফিশিয়াল ইনস্টলার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এইচপির থ্রেট রিসার্স টিম একটি ডোমেইন খুঁজে পেয়েছে, যেটি মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট নকল করে তৈরি করা হয়েছে। উইন্ডোজ-আপগ্রেডেড ডটকম ডোমেইনের এই ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষতিকারক কোড লুকানো রয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এইচপির গবেষকরা মাইক্রোসফটের অফিশিয়াল পেজের অনুরূপ আরেকটি ভুয়া ডোমেইনের সন্ধান পান। এরই মধ্যে অধিকাংশ ক্ষতিকর লিংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে কিছু লিংক এখনো সচল। যেসব ব্যবহারকারী অনলাইন থেকে ক্ষতিকর ইনস্টলেশন ফাইল ডাউনলোড করেছে তাদের কম্পিউটারে উইন্ডোজ১১ ইনস্টলেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট নামে একটি জিপ ফাইলের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে যা বলা হয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাইলটিতে ১ দশমিক ৫ মেগাবিটের ছয়টি উইন্ডোজ ডিএলএল, একটি এক্সএমএল ও একটি বহনযোগ্য এক্সিকিউটেবল ফাইল রয়েছে। ফাইলটি আনজিপ করার পর ব্যবহারকারীরা ৭৫৩ মেগাবিট ফোল্ডার দেখতে পান। সেখানে এক্সিকিউটেবল ফাইলটিই ৭৫১ মেগাবিটের।
ইনস্টলার ডাউনলোড
সাইটটি থেকে উইন্ডোজ ১১ এর ইনস্টলার ডাউনলোড করলে একটি জিপ ফাইল ডাউনলোড হয়। আসলে এটি উইন্ডোজ ১১ এর ইনস্টলার নয়। এতে রেডলাইন নামের ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার রয়েছে। যা দিয়ে সাইবার অপরাধীরা ব্যক্তিগত তথ্য, ব্রাউজার কুকিজ, ব্যাংকিং তথ্য ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ডেটা হাতিয়ে নেয়।