বাংলাদেশে বর্তমানে রেষ্টুরেন্ট বিজনেস বা খাবারের দোকানের ব্যবসা একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। আমরা অনেকেই এখন বিনোদন বা প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সবার আগে ভালো মানের খাবার দোকানের কথা চিন্তা করি। যেখানে শুধু খাবার নয়, একটি সুন্দর পরিবেশে পরিবার এর সদস্য এবং প্রিয়জনদের নিয়ে আমরা ভাল কিছু সময় কাটাতে পারি।
সময়ের এই চাহিদাকে মাথায় রেখেই আমাদের তরুন প্রজন্মের অনেকেই আকর্ষণীয় এবং লাভজনক ব্যবসা হিসেবে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসাকে বেছে নিচ্ছে। অধিকাংশ তরুন ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার প্রসার ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধাকে আরো কার্যকরীভাবে ব্যবহার করছে।
ফেসবুক প্রমোশন, ই-মেইল মার্কেটিং, ডিজিটাল ব্যনারের ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসার ক্ষেত্রকে আরো কিভাবে জনপ্রিয় করে তোলা যায় তা নিয়ে সচেষ্ট ব্যবসায়ীরা।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর কিছু ছাত্র মিলে একটি রিসার্চ করে যেখানে তারা ২০১৩-২০১৬ সালে বাংলাদেশে ফাস্ট ফুড ব্যবসার মাধ্যমে কতটা লাভবান হয়েছে তা তুলে ধরে।
রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় প্রযুক্তির ব্যবহার আসলে কতটা প্রয়োজন?
আমাদের দৈন্দিন জীবনের প্রতি লক্ষ্য করলে আমরা নিসঃন্দেহে বলতে পারি, প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের জীবন এখন হয়েছে সহজ এবং বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের কার্য ক্ষমতা। দৈনন্দিন জীবন সহ আমাদের কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি অংশে প্রযুক্তির প্রসার প্রতি মূহুর্তে দৃশ্যমান। সেক্ষেত্রে একটি লাভবান ব্যবসা স্থাপনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অনিবার্য।
বর্তমান সময়ে সবাই চায় তার কাজকে সহজ করতে। ভোজন রসিক মানুষেরা এখন সুস্বাদু খাবার এর পাশাপাশি উন্নত পরিবেশ এবং সহজলভ্য প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধা এ সব কিছু মাথায় রেখেই সেখানে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। যেমন বিনামুল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার, বড় টিভি মনিটরে খাবার ছবির প্রদর্শন, ডিজিটাল মেশিনে বিল প্রদান ইত্যাদি।
রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় প্রযুক্তির ব্যবহার আসলে কতটা প্রয়োজন?
আমাদের দৈন্দিন জীবনের প্রতি লক্ষ্য করলে আমরা নিসঃন্দেহে বলতে পারি, প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের জীবন এখন হয়েছে সহজ এবং বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের কার্য ক্ষমতা। দৈনন্দিন জীবন সহ আমাদের কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি অংশে প্রযুক্তির প্রসার প্রতি মূহুর্তে দৃশ্যমান। সেক্ষেত্রে একটি লাভবান ব্যবসা স্থাপনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অনিবার্য।
বর্তমান সময়ে সবাই চায় তার কাজকে সহজ করতে। ভোজন রসিক মানুষেরা এখন সুস্বাদু খাবার এর পাশাপাশি উন্নত পরিবেশ এবং সহজলভ্য প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধা এ সব কিছু মাথায় রেখেই সেখানে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। যেমন বিনামুল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার, বড় টিভি মনিটরে খাবার ছবির প্রদর্শন, ডিজিটাল মেশিনে বিল প্রদান ইত্যাদি।
রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মতে খাবার দোকানের বিল করা থেকে শুরু করে পন্যের মজুদ নির্ধারন করা সব কিছুই এখন প্রযুক্তিগত সমাধানের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব। ব্যবসায়ীদের জন্য এই প্রযুক্তিগত সুবিধা বা সমাধানগুলো সাধারনত সফটওয়্যার কোম্পনীগুলো তৈরি করে থাকে। এই সফটওয়্যার সমাধানগুলো সাধারনত ব্যবসার ধরন বুঝে এবং মালিক পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হয়।
যেমন, সাউথটেকের DiningPlus সফটওয়্যার সমাধানটি। বর্তমানে রেস্টুরেন্ট ব্যবাসায়ীদের কাছে এই সফটওয়্যার সমাধানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই সফটওয়্যার সমাধানটি ব্যবহার করে রেস্টুরেন্ট ব্যবাসায়ীরা তাদের বিলিং থেকে শুরু করে তাদের ব্যবসায়িক যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে।
এই সফটওয়্যারটি মুলত একটি ওয়েব ভিত্তিক সমাধান যা C# এবং .Net framework ব্যবহার করে তৈরি করা ।
এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে রেষ্টুরেন্ট মালিকরা অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই নিজদের বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি একের অধিক শাখা এর কার্যক্রম একটি প্যানেলের মাধ্যমে পরিচালনা করতে সক্ষম। এর দ্বারা মালিকপক্ষ সহজেই তার সবকটি ব্রাঞ্চ এর বিক্রয় থেকে শুরু করে যে কোন বিষয় সহজেই পর্যালোচনা করতে পারেন।
যে কোন রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা মূলত তার মালিকপক্ষ ,কাঁচামাল সরবরাহকারী, কর্মচারী এবং ক্রেতাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে। এই চার শ্রেণীর কথা মাথায় রেখেই সাউথটেক তৈরি করেছে DiningPlus সফটওয়্যারটি।
মালিকপক্ষ এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট ধারনা অর্জন করতে পারছেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবসার জন্য লাভজনক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারছেন।
রেষ্টুরেন্ট এর আয় এর অনেক বড় একটি অংশ চলে যায় কাঁচামালের খরিদ এবং মজুদে। এই একটি মাত্র সফটওয়্যার ব্যবহারে কোন কাঁচামাল কখন মজুদ হচ্ছে এবং কখন কি কারনে ব্যবহারের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে সেই সবই সহজে একটি প্যানেলের মাধ্যমে জানা সম্ভব।
সুনির্দিষ্ট সিস্টেমের দ্বারা কর্মচারীদের মধ্যে কাজের সম বন্টন তাদের কর্মক্ষমতা বাড়াচ্ছে। রান্নাঘরের কর্মচারী থেকে শুরু করে ম্যানেজার, ওয়েটার এবং ক্যাশিয়ার সকলের মধ্যেই নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ তাদের কাজকে আরো সহজ করে তুলেছে।
আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম অংশ মুঠোফোন এবং ট্যাবে DiningPlus সফটও্যার ব্যবহারের মাধ্যমে টেবিলে বসেই ক্রেতারা সহজেই খাবারের অর্ডার করতে পারে – যা ক্রেতাদের কাছে লাইনে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে অর্ডার করার চেয়ে বেশি পছন্দনীয়।
আমরা এখন অধিকাংশ রেষ্টুরেন্টেই দেখি কর্মচারীরা হাতে বিল করার চেয়ে সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিল করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যার ফলে তাদের দিনের অনেকটা সময় বেঁচে যায় এবং তারা কাস্টমারদেরকেও সম্পুর্ণভাবে সহযোগিতা করতে পারে।
রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা বিশ্বাস করেন প্রযুক্তির এই ব্যবহারে বাংলাদেশের রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা ভবিষ্যতে আরো জমজমাট হয়ে উঠবে এবং ত্রুন সমাজ আরো বেশি এ ব্যবসা ক্ষেত্র এর সাথে নিজেদেরকে যুক্ত করবে।