শহরের চেয়ে গ্রামে ব্রডব্যান্ডের দাম বেশি

সারাদেশে এক রেটে ব্রডব্যান্ড সেবা দিতে পারছেনা ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। শহরের চেয়ে গ্রামে ব্যান্ডউইথের পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ীরা।

সকালে রাজধানীতে এক আলোচনায় এসব কথা জানায় আইএসপি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আই/এস/পি/এ/বি। এসময় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনতে কাজ করছে সরকার।

দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হলেও, অনলাইন ব্যবসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্রডব্যান্ড সংযোগের চাহিদাই বেশি। দেশে বর্তমানে ব্রডব্যান্ড গ্রাহক সংখ্যা এক কোটির কাছাকাছি।

গেল বছর সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম ঠিক করে দেয় বাংলদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। এক দেশে এক রেটের আওতায় ৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ ও ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা ঠিক করা হয়।

তবে আইএসপিএবি বলছে, ঢাকায় প্রতি এমবিপিএস ১০০ টাকা হলেও, ঢাকার বাইরে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় এটি ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যান্ডউইথ পরিবহন খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার দাবি তাদের।

সারাদেশেকে ব্রডব্যান্ড সংযোগের আওতায় আনতে রাউটার ও ফাইবার অপটিক ক্যাবলসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড় এবং ইন্টারনেট সেবাকে করমুক্ত করাও দাবি জানায় সংগঠনটি।

এসব দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে ২ লাখ ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিশ্চিত করা হবে সারাদেশে।

শতভাগ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিতের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলেও আশা করেন তিনি।

Add Comment