১০০০ ভিউতে ইউটিউব কত টাকা দেয়?
ইউটিউব এখন তরুণ সমাজে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে- একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে ১০০০ ভিউতে ইউটিউব কত টাকা দেয়। এই টিউনের মাধ্যমে তাঁর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। জনপ্রিয়তা পেলে ইউটিউবে গুগল এডসেন্সের হোস্টেড একাউন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই বিজ্ঞাপন দেখানো যায় এবং আয় করা যায়।
বিজ্ঞাপন দেখানো জন্য ইউটিউবের নির্ধারিত মাণদন্ড হচ্ছে-কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং বিগত ৩৬৫ দিনে ৪০০০ ঘন্টা ভিউ।
প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার অবসান
ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করলেই অনেক টাকা আয় করা যায় না। যাদের হাজার হাজার বা, লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার আছে তারা সবাই লাখ লাখ টাকা আয় করেন না। নতুন যারা ইউটিউবিং শুরু করতে চান তারা অনেকেই প্রচুর ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন। কিছু তথ্য দেই-
- ইউটিউবের আয় ভিডিও ভিউ এর উপর নির্ভর করে না, বিজ্ঞাপনে কত ক্লিক পড়লো সেটার উপর অংশত নির্ভর করে
- মানুষকে বলে বলে ভিডিও দেখিয়ে এবং সাবস্ক্রাইব করিয়ে কোন লাভ হয় না
- গান, সিনেমা ১০ সেকেন্ড করে কপি করলেও কপিরাইট ক্লেইম হতে পারে, ১০ মিনিটে নাও হতে পারে
- কপিরাইটের ব্যাপারটা নির্ভর করে মূল কনটেন্ট আপনার নাকি অন্য কারো সিনেমার ক্লিপ। ভিডিও ক্লিপ ছাপিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করলে কোন সমস্যা নেই
- অন্য কোন সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে কিছু বললে প্রচুর ভিউ পাওয়া যায়, পজিটিভ এবং নেগেটিভ প্রচার পাওয়া যায়। কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক পেয়ে চ্যানেল হারানোর সম্ভাবনাও থাকে
- ইউটিউবে দেখানো হারাম বিজ্ঞাপন ব্লক করে দিলে ইউটিউব থেকে আয় করা হালাল
১০০০ ভিউতে কত টাকা পাওয়া যাবে?
এই বিষয়টা আলাদা করেই বলি- ভিউতে কোন টাকা পাওয়া যায় না। ইউটিউব মনিটাইজেশনের শর্ত পূরণ করলে আপনার ভিডিওগুলো মনিটাইজ করতে পারবেন অর্থাৎ, এডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন।
এই বিজ্ঞাপন কারা দেখছে, তারা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করছে কি না এটার উপর আয় নির্ভর করে। বাংলাদেশী ইউটিউবারেরা গড়ে ১০০০০ ভিউতে ১ ডলার পেয়ে থাকেন। সেই হিসেবে ১০০০ ভিউতে ০.১ ডলার বা, ৮ টাকা পেয়ে থাকেন। এর কম বা, বেশীও হতে পারে।
বিদেশী মানুষ যদি ভিডিও বেশী দেখে, কনটেন্ট ইংরেজী হয় বা, ইউরোপ, আমেরিকার ভিউয়ার বেশী থাকে তাহলে সিপিসি বেশী থাকে, আয় বেশী হয়।
তথ্যসূত্রঃ ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়– লেখক ডট মি