১০টি এডভান্সড SEO স্কিল যা আপনার ক্যারিয়ারকে নিয়ে যাবে নেক্সট লেভেলে

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি, আশা করছি ভাল আছেন সুস্থ আছেন৷ বরাবরের মতই আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। আজকে আলোচনা করব সেরা কিছু SEO স্কিল নিয়ে। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

আপনি যদি SEO প্রফেশনে থাকেন অথবা ভবিষ্যতে এটাকে প্রফেশন হিসেবে নিতে চান তাহলে আজকের এই টিউনটি আপনার জন্য দারুণ উপকারী হতে চলেছে। এই টিউনে আমি এমন ১০ টি স্কিল তুলে ধরার চেষ্টা করব যেগুলো আপনার SEO এক্সপার্টাইজকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাবে।

অনেক SEO এক্সপার্ট ভাবে একটা নির্দিষ্ট এরিয়া পর্যন্ত এক্সপার্ট হয়ে পরবর্তীতে হয়তো শেখার মত তেমন কিছু থাকে না। একটি ওয়েবসাইটকে পুরোপুরি অপটিমাইজ করে হয়তো কাজ শেষ, কিন্তু না, আপনার শেখার এখনো অনেক কিছু আছে। একজন SEO প্রফেশনালকে আরও অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং আত্মবিশ্বাসী হতে আরও কিছু স্কিল নিজের মধ্যে ডেভেলপ করা উচিত।

এটা জরুরি নয় প্রতিটি SEO এক্সপার্ট এর এই স্কিল গুলো অর্জন করতে হবে তবে আপনি যদি এগুলো নিজের মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবেন, সেলারি বাড়ার পাশাপাশি মার্কেটপ্লেস গুলোতে আরও চমৎকার সেবা দিতে পারবেন, নিজের র‍্যাংক বাড়াতে পারবেন।

১. ইন্টেন্ড বা অভিপ্রায় এনালাইসিস

আপনাকে অন্য SEO প্রফেশনাল থেকে এগিয়ে থাকতে Intend Analyses বা অভিপ্রায় এনালাইসিস সম্পর্কে জানতে হবে এবং যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। অভিপ্রায় এনালাইসিস হচ্ছে, একজন ইউজার কি পাবার জন্য কি লিখে সার্চ দিচ্ছে। সকল ইউজার এক ভাবে গুগলে সার্চ করে না আবার গুগলে সব সময় সবটুকু লিখে সার্চ দিতে হয় না। গুগল ইঙ্গিত পেলেই সঠিক রেজাল্টটি দেখিয়ে দেয় আর এটিই হচ্ছে অভিপ্রায় এনালাইসিস।

একটা উদাহরণ দেয়া যাক, ধরুক একজন ইউজার Pizza Restaurant লিখে সার্চ দিয়েছে। এখন সে আসলে কি চাচ্ছে? সে কি তার কাছাকাছি পিজ্জা রেস্টুরেন্ট খুঁজছে? সে কি আশেপাশে পিজ্জা রেস্টুরেন্ট খুলতে চায়? নাকি কোন পিজ্জা রেস্টুরেন্টে চাকরি খুঁজছে?

একজন ইউজারের আসল চাহিদাটা জানা এখানে জরুরি, আপনি যদি এটা ধরতে পারেন তাহলে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারবেন। আপনি যখন এটা জেনে নিজের ওয়েবসাইটে এপ্লাই করবেন তখন একই সাথে ইউজাররা যেমন সন্তুষ্ট হবে তেমনি আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ র‍্যাংক বৃদ্ধি পাবে।

এই বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হলে আপনাকে গুগলে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডে সার্চ দিতে হবে, জানতে হবে কোন কিওয়ার্ডে কোন রেজাল্ট আসে। আবার এটাও দেখার বিষয় প্রথম রেজাল্ট গুলো কি আসে, কারণ ইউজার যে রেজাল্ট গুলোতে বেশি ক্লিক করে সেই রেজাল্ট গুলোই প্রথমে দেখায়।

একটু আগের উদাহরণটা যদি দেই, আপনি Pizza Restaurant লিখে সার্চ দিলেন, যদি প্রথমেই কাছাকাছি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সাজেশন দেখেন তাহলে বুঝবেন, ইউজাররা এই কিওয়ার্ডে আসলে এটাই খুঁজে। কারণ প্রথমে গুগল র‍্যান্ডমলি বিভিন্ন ফলাফল দেখালেও যখন ইউজার নির্দিষ্ট টপিকে বেশি ক্লিক করে তখন সেটিই প্রথমে শো করে।

আশাকরি Intend Analyses সম্পর্কে কিছুটা হলেও বুঝাতে পেরেছি এখন আপনার কাজ হচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে ভাল মত রিসার্চ করা এবং নিজের মধ্যে এই স্কিল নিয়ে আসা।

২. কোডিং

কোডিং জানা থাকলে আসলে সুবিধার শেষ নেই। অনেকে বলতে পারেন SEO এক্সপার্টদের কোডিং দিয়ে কাজ কি? আপনি SEO নিয়ে কাজ করলেও কোডিং আপনাকে অনেক ভাবে সাহায্য করতে পারে। যেমন আপনি যদি কোডিং জানেন তাহলে বুঝবেন কিভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করলে সার্চ Bot আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত crawl করবে।

সঠিক সময় সাইট ইনডেক্স হতে এবং সাইটকে বট-ফ্রেন্ডলি বানাতে HTML, CSS, এবং JavaScript সংক্রান্ত ধারণা আপনাকে দারুণ সাহায্য করবে।

তবে SEO প্রফেশনালদের কোডিং এ ডেভেলপারদের মত স্কিল লাগবে বিষয়টি এমন নয়, আপনার কাজের পরিধি অনুযায়ী কোডিং জানলেও হবে। যেমন যে বিষয় গুলো crawl এবং ইনডেক্স এর সাথে জড়িত সেই সমস্ত বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকলেই হবে।

কোডিং বিষয়ে ধারণা থাকলে সব সময় ছোটখাটো চেঞ্জের জন্যও ডেভেলপারদের শরণাপন্ন হতে হবে না, নিজেই পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

কোড কিভাবে শুরু হয় কিভাবে শেষ হয়, মূল বিষয় গুলো কি কি থাকে এ সম্পর্কে ধারণা নিন। কোন বিষয়ের সাথে কোন এলিমেন্ট সম্পর্কিত জানার চেষ্টা করুন। তাছাড়া Python এবং SQL শিখে আপনি SEO এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন অটোমেশন টাস্ক যেমন, URL redirects ম্যাপিং এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন।

৩. সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানা

এটা সত্যি যে, একটা ওয়েবসাইট কত জন ভিজিটরের লোড নিতে পারবে এবং কত রিকুয়েস্ট হ্যান্ডেল করতে পারবে এর দায় একজন SEO এক্সাপার্টের নয়। তবে একটি ওয়েবসাইটের লোড স্পীড, Crawling এ সার্ভারের গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাসিক ধারণা আপনাকে SEO তে এগিয়ে রাখতে পারে। একই সাথে আপনি পরবর্তী SEO টেকনিকে বিষয় গুলো কাজে লাগাতে পারেন যা দারুণ একটি ফলাফল দিতে পারে।

CDN ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট লোড স্পীড কয়েকগুণ বাড়ানো যায় যা একই সাথে অনেক ইউজারকে দারুণ ভাবে হ্যান্ডেল করতেও সাহায্য করে। একই কাজ কিন্তু স্ট্যাটিক বা ফিক্সড সার্ভারের মধ্যমে করা যাবে না। এখন আপনার যদি CDN সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে বিষয়টি আপনি সহজে হ্যান্ডেল করতে পারবেন, তা না হলে বুঝবেনই না ফিক্সড সার্ভার গুলোর লিমিটেশন গুলো কি।

ওয়েবসাইট হোস্টিং কিভাবে ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের উপর প্রভাব ফেলে এবং গুগল র‍্যাংকে এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকতে সাহায্য করে, এই বিষয়ে আপনার পরিষ্কার ধারনা থাকলে আপনার পরবর্তী SEO টেকনিক হতে পারে সবার সেরা।

আপনাকে জানতে হবে কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের আপটাইম এবং লোকেশন, সার্চ র‍্যাংকিং এ প্রভাব ফেলে। আপনার জানার পরিধি হতে পারে ব্যাসিক সার্ভার সম্পর্কে ব্যাসিক জ্ঞান লাভ করা।

আপনি সার্ভার কোড Standard 404 এবং 301 সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন এতে জানতে পারবেন সার্ভারের বিভিন্ন ক্রিটিক্যাল ইস্যু সম্পর্কে। আপনি হয়তো 502 বা 504 error সম্পর্কে জানেন না। এই এরর গুলো সম্পর্কে জানুন।

5XX এই ধরনের এরর এর মানে হল সার্ভারের কোথাও সমস্যা হয়েছে যার জন্য ক্লায়েন্ট থেকে রিকুয়েস্ট নিয়ে সেটা প্রসেস করতে পারছে না। আপনি চাইলে এই httpstatuses ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন এরর কোড সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।

কোড গুলো জানলে আপনি বুঝতে পারবেন আসলে সমস্যা সার্ভারের নাকি ক্লায়েন্টের এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

৪. কন্টেন্ট রাইটিং

কিভাবে কন্টেন্ট লিখতে হয় এটা জানা এডভান্সড SEO এর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনাকে অন্য কোন লিখা থেকে একটা কিছু লিখতে বল হল আপনি সেটা কোন মত লিখে ফেললেন! SEO এর জন্য এটা যথেষ্ট নয়।

আপনাকে কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লিখতে হয় সেটা জানতে হবে এবং সঠিক ভাবে সঠিক জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে। আপনার কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে এবং কিওয়ার্ড গুলোতে জোর দিতে হবে যাতে সার্চ ইঞ্জিন গুলো সেটা সহজে খুঁজে পায়।

তাছাড়া কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে এডিটিং কে অন্যতম স্কিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেক কোম্পানি আছে যেখানে SEO এক্সপার্টদের কাজই হচ্ছে অন্য আরেকজনের লিখা নিজের প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী এডিট করা এবং অপটিমাইজ করে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য প্রস্তুত করা।

কন্টেন্ট রাইটিং বিষয়টি বেশ জটিল যেমন প্রথম কয়েকটা প্যারাগ্রাফে কয়েকবার কিওয়ার্ড এড করে দিলে সার্চ র‍্যাংকিং কিছুটা এগিয়ে থাকা সম্ভব তবে এতে আপনার কনভারসন এবং লয়্যালটি নষ্ট হতে পারে। সুতরাং আপনাকে জানতে হবে কিভাবে নিজের কোম্পানি নিয়ে সেরা কন্টেন্ট লিখতে হয় যাতে যেন কাস্টমার পালিয়ে না গিয়ে লয়্যাল কাস্টমারে পরিণত হয়।

কপি-রাইটিং এর ক্ষেত্রেও বিষয় গুলো এক। আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কপি-রাইটিং করতে বলা হলে আপনি অবশ্যই এমন ভাবে লিখবেন যেন এতে কাস্টমাররা কোম্পানির প্রতি আগ্রহী হয়।

কন্টেন্ট রাইটিং এ ভাল করতে হলে আপনি প্রফেশনাল কপিরাইটারদের সাথে কথা বলতে পারেন তারা কিভাবে কাজ করে জানতে চাইতে পারেন প্রয়োজনে প্রশিক্ষণও নিতে পারেন।

৫. রিপোর্টিং

SEO এর অগ্রগতি, ফলাফল, সফলতা বা ব্যর্থতার কারণ ইত্যাদি বিষয় গুলোতে দূরদর্শী নজর রাখার উপর ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার সফলতা নির্ভর করে। আপনি যত ভাল ভাবে এই বিষয় গুলোতে সমন্বয় আনতে পারবেন সামনে আপনি ততটা অগ্রগতি দেখতে পাবেন।

একজন SEO এক্সপার্ট সব সময় তার স্টেইক-হোল্ডারের চাহিদা ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করবে, হোক সেটা কোন এজেন্সির জন্য কাজ, কোন ব্যক্তির জন্য অথবা কোন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ। আপনি যদি আপনার কাজের অগ্রগতি কতটুকু কাজে হয় বুঝতে পারেন তাহলে সহজেই সেই অনুযায়ী বাজেট ও সময় নির্ধারণ করতে পারবেন।

ক্লায়েন্টের কাজ করার পর আপনার প্রথম কাজ হবে তাকে উপযুক্ত রিপোর্ট প্রদান করা। SEO বিষয় গুলো প্রয়োগ করার পর ইউজারদের কেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, কনভারসন রেট কেমন, ইউজাররা কি আশা করছে সব গুলো বিষয়ের উপর রিপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করুন।

রিপোর্ট মানেই কয়েটা গ্রাফের সমষ্টি না, আপনি এমন ভাবে রিপোর্ট তৈরি করবেন যেন সেটা ক্লায়েন্ট দেখে ফলাফল বুঝতে পারে এবং ব্যবসায় এর জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

একজন SEO এক্সপার্ট সব সময় তার ক্লায়েন্টের সমস্যা গুলো নিজের মনে করে রিপোর্ট তৈরি করবে, ক্লায়েন্টকে জানাবে কোন বিষয় গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিৎ এবং লিমিটেশন গুলো কি কি।

একই সাথে তারা ক্লায়েন্টকে বিভিন্ন ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে বুঝতে সাহায্য করবে কিভাবে কাজ করতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।

৬. SEO ফরকাস্টিং

অতীত ফলাফল বর্ণনা করার পাশাপাশি আউটকাম সম্পর্কে ধারনা করতে পারার ক্ষমতাও SEO ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ। SEO ফরকাস্টিং বিষয়টি বলতে গেলে বেশ জটিল একটা ব্যাপার। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পরিবেশ দ্বারা বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রিত হয়।

কখনো কখনো প্রতিযোগিতা বা বাজার পরিবর্তন অথবা রাজনৈতিক বিভিন্ন সিচুয়েশনে সব প্রেডিকশন নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আমরা চাইলেও কখনো নিশ্চিত ভাবে বলতে পারব না নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের ট্রাফিক, কনভারসন, সেল কেমন হবে।

সঠিক SEO ফরকাস্টিং এর জন্য আমাদের পূর্ববর্তী এনালাইটিক ডাটা গুলো বিবেচনা করতে হবে। এর আগে কোথা থেকে সার্চ ট্রাফিক আসতো এবং বিভিন্ন ট্রেন্ডে, নির্দিষ্ট সময়ে কি প্যাটার্নে ট্রাফিক এসেছে সব কিছু এনালাইসিস করতে হবে এবং সম্ভাব্য একটা আউট-কাম সেট করতে হবে।

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে SEO ফরকাস্টিং কিভাবে শুরু করতে হয়। চলুন ছোট করে এর উত্তর দেয়া যাক। SEO Forecasting এ আপনার প্রথম কাজ হবে পূর্ববর্তী সকল ডেটা কালেক্ট করা এবং এক জায়গায় নিয়ে আসা৷ এই কাজটি বিভিন্ন থার্ডপার্টি টুল দিয়েও করা যায় অথবা Google analytics ও ব্যবহার করতে পারেন।

পরবর্তী কাজ হবে ডেটা গুলো চিহ্নিত করা যেমন নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাফিক বাড়া কমার পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে। ধরে নিলাম ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের ডেটা নিয়ে কাজ করছেন সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনাকে বিবেচনা করতে হবে যেগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ধরলে চলবে না।

যেমন তখন গুগলের এলগোরিদম চেঞ্জ হওয়াতে আপনার ট্রাফিক কিছুটা কম আসতে পারে আবার ব্ল্যাক ফ্রাইডে থাকার কারণ ট্রাফিক কিছুটা বুস্টও করতে পারে।

ডেটা গুলো চিহ্নিত করার পর আপনার কাজ হবে বিভিন্ন ফরকাস্টিং টুলের মাধ্যমে সেগুলো এনালাইসিস করা।

SEO ফরকাস্টিং স্কিল আপনাকে, কোম্পানির নতুন সুযোগ গুলো চিহ্নিত করতেই কেবল সাহায্য করবে না একই সাথে আপনার কাজের গ্রহণযোগ্যতা ও সাফল্যও নিশ্চিত করবে।

৭. log ফাইল এনালাইসিস

নির্দিষ্ট সময় আপনার ওয়েবসাইটে কে বা কারা এক্সেস করেছে সেগুলো বের করা এবং সে সম্পর্কে ধারণা নেয়াকেই আমরা বলব log ফাইল এনালাইসিস। আপনি এই এনালাইসিস এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন কখন কখন ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছে এবং কি ডিভাইস দিয়ে এক্সেস নিয়েছে। একই সাথে জানা যাবে সার্চ ইঞ্জিন bot গুলো কখন এক্সেস করেছে।

এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি কেমন আচরণ করছে কত বার কোন পেজ গুলোতে ভিজিট করছে। আরেকটা বিষয় জানবেন সেটা হল কোন পেজ গুলোতে এক্সেস নিতে পারছে না এটা অবশ্য আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন Error ফিক্স করতে সাহায্য করবে।

Log ফাইল এনালাইসিস করার অনেক টুল রয়েছে আপনার কাজ হচ্ছে সেগুলো দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর আপনার স্কিলের কাজ এখানেই, খুঁজে বের করবেন কোন পেজ গুলোতে সার্চ বট এক্সেস নিতে পারছে না এবং সেই পেজ গুলো ঠিক করবেন।

কখনো ইন্টারনাল স্ট্র‍্যাকচার গত ভুলের জন্যও এমন সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ আপনি সমস্যা খুঁজে বের করে নিজে সমাধান করতে পারেন অথবা বিস্তারিত তথ্য ডেভেলপারকে দিয়ে দিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে পারেন এতে আপনার সুনামও বৃদ্ধি পেতে পারে।

৮. ওয়েবসাইট মাইগ্রেশন

সঠিক ওয়েবসাইট মাইগ্রেশন প্ল্যান করা এবং সেটার প্রয়োগ সহজ কাজ না এজন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। অনেক SEO প্রফেশনাল রয়েছে বিশেষ করে যারা ব্র‍্যান্ড সাইটে কাজ করেন তারা এই কাজটি সহজে করার সুযোগ একদমই পান না কিন্তু তাদের অনেক ওয়েবসাইট মাইগ্রেশনের প্রয়োজন পড়ে।

আপনিও যদি ওয়েবসাইট মাইগ্রেশনে জটিলতায় ভোগেন তাহলে বলব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা কাটিয়ে উঠুন এবং নিজের মধ্যে দ্রুত সাইট মাইগ্রেশনের দক্ষতা গড়ে তুলুন।

যারা এজেন্সির হয়ে SEO করেছেন তাদের জীবনে একবার হলেও ওয়েবসাইট মাইগ্রেশনের প্রয়োজন পড়েছে, মনে করে দেখুন প্রসেসটা কতটা জটিল ছিল। এটি বেশ সময় সাপেক্ষ কাজও বটে তাছাড়া বিভিন্ন Error এর রিস্ক তো আছেই।

ওয়েবসাইট মাইগ্রেশনে একই সাথে কয়েকটা স্কিলের সমন্বয় ঘটে যেমন স্টেইকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন, প্ল্যানিং, প্রসেস ড্রাইভিং ইত্যাদি৷ বলা যায় যদি একবার সব গুলো স্কিল নিজের মধ্যে নিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ারে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হবে।

৯. অন্য সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করা

আপনি যদি এডভান্সড SEO স্কিল অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে Google এর বাইরেও ভাবতে হবে। সব জায়গায় ট্র্যাডিশনাল সার্চ ইঞ্জিন গুলো নিয়ে কথা বার্তা হয় কেউ এর বাইরে কথা বলতে চায় না, এটা ঠিক না! আপনাকে সব বিষয়ে জানতে হবে কখনো শেখাকে লিমিট করা যাবে না।

প্রায় সকল সার্চ ইঞ্জিন একই প্রিন্সিপালে কাজ করলেও প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এজন্য আপনাকে সব গুলো সার্চ ইঞ্জিনকে মাথায় রাখতে হবে। তাছাড়া সব গুলো সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট কিন্তু দেশ অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে যায়।

আপনার দেশে গুগল যে সার্চ দেখাচ্ছে পাশের দেশে একই দেখাবে এমন কোন কথা নেই। পার্থক্য গুলো কেন হয় সেটা খুঁজে বের করুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন। গুগল ছাড়া যে সার্চ ইঞ্জিন গুলো রয়েছে সেগুলোতে কিভাবে র‍্যাংক করা যায় রিসার্চ করুন।

যেমন আপনি ইউটিউবে কোন কিছু র‍্যাংক করাতে চাইলে শুধু গুগল নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না গুগলের প্রোডাক্ট হলেও ইউটিউবের নিজস্ব এলগরিদম রয়েছে, ট্যাগ, কিওয়ার্ড সহ আরও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। যেগুলোতে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে।

ইউটিউব ছাড়াও আরও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন, PinterestTripAdvisor, এর মত ওয়েবসাইট গুলোর জন্যও কাজ করুন। Quora তে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।

১০. ইন্টারন্যাশনাল SEO

সর্বশেষ আলোচনা করব ইন্টারন্যাশনাল SEO নিয়ে। ইন্টারন্যাশনাল SEO মেইনটেইন করা বেশ জটিল একটি টাস্ক। যেমন আপনার ওয়েবসাইট যদি ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্স এর জন্য অপটিমাইজ করতে চান তাহলে একই সাথে কয়েকটা স্কিল এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যেমন, Technical SEO, Digital PR, এবং On-page Optimization স্কিল।

আপনার ওয়েবসাইটকে বাইরে পরিচিত করার জন্য বেশি কিছু প্রশ্নের জবাব আপনাকে দিতে হবে,

আপনার ওয়েবসাইটের স্ট্র‍্যাকচার কেমন হবে? আলাদা ডোমেইন নেবেন নাকি সাব ডিরেক্টরিতে দেবেন?

লোকেশন অনুযায়ী আপনার কন্টেন্ট ট্রান্সলেশন এর ব্যবস্থা রাখবেন?

এমন আরও অনেক স্ট্রেটেজি রয়েছে যেগুলো ইন্টারন্যাশনাল SEO এর জন্য দরকার।

ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্সের কাছে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট তুলে ধরতে আপনার নির্দিষ্ট ভাষা ও লোকাল বিষয়াবলী সম্পর্কেও ভাল ও পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। তবে গুগল Search Central  দারুণ একটি সুবিধা নিয়ে এসেছে যার মাধ্যমে আপনি বাইরের দেশে ওয়েবসাইট অপটিমাইজ নিয়ে ভাল ধারণা পেতে পারেন।

শেষ কথা

আসলে SEO জার্নিটা স্মুথ করতে প্রতিটা SEO প্রফেশনালের কিছু স্কিল আয়ত্তে থাকা জরুরী। কারণ এতে করে নিজের টুকটাক সমস্যা নিজেই সমাধান করে নেয়া যায়। যেমন যে SEO এক্সপার্ট কোডিং জানে সে কখনোই ছোটখাটো Error জন্য ডেভেলপারের শরণাপন্ন হবে না।

SEO ফিল্ডে শেখার কোন শেষ নেই আপনি যত জানবেন যত শিখবেন ততই আপনার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। তারপরেও বর্তমান সময়ে নিজেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখার জন্য সেরা ১০ টি স্কিল নিয়ে আলোচনা করলাম আশা করছি এগুলো আপনার পথ চলাকে আরও সহজ করবে।

কেমন হল এই টিউনটি জানাতে ভুলবেন না। কোন কিছু জানার থাকলে টিউমেন্ট করুন। পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ!

Add Comment