মহাকাশে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আই এস এস এ একটি ফাটল তৈরি হয়েছে. যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে পারে. যেকোনো সময় বড় ধরনের অঘটনের মুখে পড়তে পারে মহাকাশ স্টেশনটি.
উনিশশো আটানব্বই সালে নির্মাণ করা হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন. পনেরো বছরের জন্য এর নকশা করা হয়েছিল. রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা জাপান এবং কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের যৌথ প্রকল্প এটি.
রাশিয়া প্রায়ই মহাকাশ স্টেশনের যন্ত্রপাতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকে. এছাড়া দুই হাজার পঁচিশ সালের পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে তারা. গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক দফা মহাকাশ গবেষণার বাজেট কাটছাট করেছে রাশিয়া. মহাকাশ স্টেশনে দেশটির অংশে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ত্রুটি ধরা পড়েছে.
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি ওইসব ফাটল দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক রশ্মি এবং ক্ষতিকর মহাজাগতিক নিকিরণ ঢুকে গেলেই বিপদ. ভূপৃষ্ঠ থেকে তিনশো সত্তর কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে থাকা মহাকাশ স্টেশনটিতে রয়েছে এগারো জন মহাকাশচারী.
আছেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, NASA, রাশিয়ার, ros cosmos, জাপানের Jacksa এবং ইউরোপিয়ান space agency র
মহাকাশচারীরা. কয়েকদিন আগেই
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, NASA দাবি করেছিল বর্তমানে বেশি সংখ্যক মহাকাশচারী রয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে. ফলে তাদের স্থানা ভাব হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্টেশন আই এস এস অপূরণীয় ক্ষতির মুখে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া. জানিয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় একে একে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও মহাকাশ স্টেশনের অংশ. ISS এর রাশিয়ার অংশের কমপক্ষে আশি শতাংশ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশের মেয়াদ পার হয়ে গেছে. যে কারণে দুই হাজার পঁচিশ সালের পর ISS ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারে রাশিয়া. আগেও মহাকাশ স্টেশনটির যন্ত্রাংশের ত্রুটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল দেশটি.
ISS এর রাশ য়র অংশের প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা solova of গত বছরও স্টেশনটির পুরোনো যন্ত্রপাতি পরিবর্তনের অনুরোধ করেছিলেন. সাবেক এই নভচারী জানান রাশিয়ার জারিয়া cargo module এ বড় ধরনের ফাটল ধরা পড়েছে. উনিশশো আটানব্বই সালে স্টেশনে পাঠানো এই module ISS এর সবচেয়ে পুরনো module গুলোর একটি.
বর্তমানে এটি জিনিসপত্র মজুদ করার জন্য ব্যবহার করা হয়. তিনি বলেন ফাটলটির ধরন ভালো নয়. প্রতিমুহূর্তে এটি বড় হচ্ছে ড়াশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা. Roscus মস গত বছর জানিয়েছিল যন্ত্রাংশের অবকাঠামোগত শৈথিল্যের অর্থ হলো দুই হাজার তিরিশ সালের পর আর কর্মক্ষম থাকবে না ISS.
গত জুলাইয়ের নৌকা মডিউলে ত্রুটির জোরে মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিকল হয়ে পড়েছিল পুরো মহাকাশ স্টেশনটি. ISS এর ক্রুদে থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত ওয়েস্তা সার্ভিস module এ দুই হাজার উনিশ সাল থেকে বেশ কয়েকবার ফুটো দিয়ে বাতাস বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে. এসব ঘটনার আগামী বছর চাঁদে ও শুক্র গ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর উচ্চা ভিলাসী অভিযান ঘোষণা করেছে মস্কো.
কিন্তু আবারো দুর্ঘটনা ভূপৃষ্ঠ থেকে তিনশো সত্তর কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করা এই মহাকাশ স্টেশনে. এর একাংশ থেকে হঠাৎ গলগল করে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়. প্লাস্টিক পুড়ে যাওয়ারও গন্ধ পায় মহাকাশচারীরা.
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA সূত্রে জানা যায়, প্রথমে কাজ করেনি মহাকাশ স্টেশনের ওই অংশে থাকা ফায়ার এলার্মটিও ফলে ধোঁয়া বেরোনোর কথা প্রথমে জানতেও পারেনি মহাকাশ স্টেশনে থাকা সাতজন মহাকাশচারী. পরে তারা প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ পান. তারপরেই দেখতে পান ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে মহাকাশ স্টেশনের একটি অংশ থেকে.
মহাকাশচারীরা তখন সেখানে পৌঁছে ফায়ার অ্যালার্মটি চালু করে দেন. মহাকাশ স্টেশনের
যে অংশটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে ও প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ এসেছে সেই অংশটি রস কসমসেরই বানানো. এই অংশটিতে মহাকাশচারীদের জন্য ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে. রুশ সংবাদ সংস্থা আস. জানিয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে খুব দ্রুত নিরাপদই আছে মহাকাশচারীরা.
তারা দিনের কাজ শুরু করে দিয়েছে যথারীতি. প্রিয় দর্শক, এই ছিল আমাদের আজকের আয়োজন. আমাদের ফলো করে রাখুন. ধন্যবাদ সবাইকে.