ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির বিস্তারিত নিয়ম কানুন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করাটা ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক বেশি জরুরি। মুদি দোকানের ক্ষেত্রে দোকান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ই-কমার্স ব্যবসা করার জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুরুত্বপূর্ণ

কিন্তু সমস্যা হলো, ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা নিয়ে। অনেকে নিজের লক্ষ্য পূরণ কিংবা শখের বসে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে, কিন্তু ঝামেলায় পরে ওয়েবসাইট তৈরি নিয়ে। আজকাল, ২ হাজার টাকায়ও ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

কথা হল, তাহলে দারাজ কিংবা বড় বড় ই-কমার্স কোম্পানিগুলো কেন লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট বানায়?। তাদের  সাথে, কম দামের ওয়েবসাইটের তফাৎ কি? অথবা লাখ টাকার নিচে কি ইকমার্স ওয়েবসাইট বানানো অসম্ভব!

এরকম, অনেক প্রশ্নের উত্তর সহ, ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির বিস্তারিত নিয়ম কানুন নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ই-কমার্স ব্যবসা কি?

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, ই-কমার্স ব্যবসা কি? e-commerce শব্দের অর্থ হলো ইলেক্ট্রনিক বাণিজ্য। অর্থাৎ, ইন্টারনেট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যে ব্যবসা করা হয়, তাকে ই-কমার্স বলে। সুতরাং, আপনার বাসার নিচে চায়ের দোকান দিয়ে সেখানে, টিভিতে “তু চিজ বারি হে মাস্তি মাস্তি” গান চালালে তাকে ইকামর্স বলা যাবে না।

বরং আপনি যখন এই চায়ের অর্ডারটা অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন, তখন তাকে ইকামর্স বলা যাবে।

কেন ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন?

যদিও, এই  ‍মুহুর্তে ওয়েবসাইট তৈরির প্রয়োজনীয়তা আপনি বুঝে ফেলেছেন। কারণ, ই-কমার্স ব্যবসা করবেন কিন্তু ওয়েবসাইট নাই, এটা হাস্যকর। তারপরেও, কিছু মানুষ বলতে পারে ভাইজান, আমি ফেসবুকেতো পণ্য বিক্রি করতে পারছি তাহলে, অযথা, ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা-পয়সা নষ্ট করবো কেন?

তাদের জন্য বলা প্রথমত, ফেসবুক বিজনেসকে এফকমার্স বলে। “E-commerce Website in Bangladesh” লিখে গুগলে সার্চ দিলেই বুঝবেন। যাইহোক তাদের জন্য নিচের আরও কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হল।

নিজস্ব ব্রান্ড আইডেন্টি: আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে, আপনার একটা ব্রান্ড আইডেন্টি তৈরি হলো। যেমন, মানুষ অ্যামাজন, আলিবাবা কিংবা দারাজের নাম মনে রাখে। কিন্তু, এখন ফেসবুকের কোন শপ পেজটার নাম আপনার মাথায় আসছে বলতে পারবেন?

বিশ্বস্ততা: একটা মানসম্মত ওয়েবসাইট সহজেই কাস্টমারের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে। কিন্তু, একটা ফেসবুক পেজ এটা সহজে অর্জন করতে পারে না।

পণ্য ডিসপ্লে করার সুবিধা: ওয়েবসাইটে আপনি আকর্ষণীয়ভাবে ক্যাটেগরি অনুযায়ী পণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন। গ্রাহক খুব সহজে সার্চ করে কিংবা পছন্দমতো পণ্য খুঁজতে পারবে। এছাড়া, সহজে অর্ডারও করতে পারবে। অনেকটা সুপার-শপের মতো, যদিও এটা সুপার-শপের থেকে উন্নত এবং সহজ।

সহজে মার্কেটিং করা: যারা ফেসবুক বা গুগলে এড দেন। তারা জানেন যে একটি ওয়েবসাইট থাকলে কত সহজে কাস্টমার রি-টার্গেট সহ, দ্রুত বিক্রি বৃদ্ধি করা যায়।

বিক্রি বৃদ্ধি: ওয়েবসাইটে ডিরেক্ট কাস্টমার আসার পাশাপাশি ফেসবুক এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকেও ভিজিটর আসে। গুগল থেকে একদম পারফেক্ট কাস্টমার পাওয়া সম্ভব। যখন একজন মানুষ অনলাইন থেকে নকশি কাঁথা কিনবে কিন্তু, সে জানে না কোথা থেকে কিনবে। তখন সে গুগলে সার্চ করবে। আর গুগলে সার্চ করার পর যদি আপনার ওয়েবসাইট প্রথমে আসে? কি হবে তখন চিন্তা করুন? খুব সহজে একজন কাস্টমার পেয়ে গেলেন? এই কাজটাকে এসইও বলে। আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথমে রাখতে চাইলে, এসইও করতে হবে অথবা গুগলে অ্যাড দিতে হবে।

গ্রাহক চাহিদা বোঝা: ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদের ডাটা এনালাইসিস করতে পারবেন। গ্রাহক কোন পণ্য বেশি সার্চ করে, গ্রাহক কোন জায়গার, বয়স কত ইত্যাদি আরও অনেক তথ্য জানতে পারবেন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির ধাপ

কি নিয়ে ব্যবসা করবেন তা আশা করি আগেই ঠিক করে রেখেছেন। না হলে, অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার ৫টি কৌশল। এইবার আসি মূল কথায়, ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করবেন?

১| ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয়

ওয়েবসাইট তৈরির একদম প্রথম ধাপ হলো, ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করা। সহজ ভাষায় বলি, ডোমেইন হলে ওয়েবসাইটের নাম, এই যেমন ধরণে, Google.com, Alibaba.com, Daraz.com.bd ইত্যাদি। আর হোস্টিং হল, আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য, পণ্য, পণ্যের ছবি কোথায় রাখবেন, সেই জায়গা। ডোমেইন ও হোস্টিং চাইলে আপনি নিজেই কিনতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে একটু চালাক না হলে, ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

  • যেই সাইট থেকে কিনছেন তারা বিশ্বস্ত কিনা অর্থাৎ, তারা কত দিন ধরে ব্যবসা করছে। ভবিষ্যততে থাকবে নাকি লোটা-কম্বল নিয়ে পালাবে?
  • ডোমেইনের সম্পূর্ণ কন্ট্রোল আপনাকে দিবে কিনা। ভবিষ্যতে তাদের সাইট থেকে অন্য সাইটে ট্রান্সফার করার সুবিধা আছে কিনা। থাকলে, চার্জ কি রকম এবং ডোমেইন ট্রান্সফার অথেনটিকেশন কোড আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে কিনা।
  • ডোমেইন লক করা কিনা?
  • কোম্পানি কতটুকু বিশ্বস্ত?

হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

  • দেশের মধ্যে সাইট চালালে তথা শুধু বাংলাদেশের ভিজিটর হলে বিডিআইক্স সার্ভারের হোস্ট কিনুন।
  • কাস্টমার কেয়ারে সাপোর্ট কিরকম?
  • ব্রান্ড ইমেইল সুবিধা আছে কিনা?
  • সম্পূর্ণ সিপ্যানেল অ্যাক্সেস আছে কিনা?
  • কতটুকু জায়গা ও ব্যান্ডউইথ এবং ভবিষ্যতে আপগ্রেড করা যাবে কিনা?
  • তাদের আপটাইম কিরকম?
  • মানিব্যাক গ্যারান্টি দেয় কিনা?

ইত্যাদি আরও অনেক বিষয় আছে, যাচাই করার। অনেকে বলতে পারেন, বাংলাদেশি কোম্পানি খারাপ, বিদেশি ভাল। সত্যি বলতে বাংলাদেশি অনেক কোম্পানি বিদেশিদের থেকে নিয়ে রিসেল করে। ভাল-খারাপ দেশ-বিদেশ সব জায়গায় আছে। দেশি কোম্পানি হলে সুবিধা হলো, আপনি বিকাশ, রকেট, নগদে পেমেন্ট করতে পারছেন। আর, সাহায্যের প্রয়োজন হলে বাংলা ভাষায় সাহায্যে নিতে পারবেন। আমি কিছু ডোমেইন হোস্টিং সাইট রেফার করছি, যেখান থেকে আমি ডোমেইন হোস্টিং কিনেছি।

আমার পছন্দের ডোমেইন ও হোস্টিং সাইট গুলো

  1. ExonHost (বাংলাদেশি)
  2. BTCL (সরকারী)
  3. HostingBangladesh (বাংলাদেশি)
  4. Namecheap (বিদেশি)

২| ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট

ডোমেইন হোস্টিং কেনার পরবর্তী ধাপ ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট। এই কাজ আপনি পারলে নিজেই করে নিতে পারেন। না পারলে, একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারেন। যদি আপনি ওয়েবসাইট বানাতে না পারেন আমার সাথে যোগাযোগ করুণ। আমি সাশ্রয়ী মূল্যে ওয়েবসাইট তৈরী সেবা দিয়ে থাকি। যাকে দিয়েই করান, নিচের বিষয়গুলো জানতে হবে। তা না হলে, ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

প্ল্যাটফর্ম

একদম প্রথম বিষয় হচ্ছে, আপনি কোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন। বর্তমানে জনপ্রিয় কিছু প্লাটফর্ম আছে যেখানে ওয়েবসাইট তৈরি করার খরচ অনেক কম এবং পরিচালনাও অনেক সহজ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • উ-কমার্স/ওয়ার্ড-প্রেস
  • ম্যাজেন্টা
  • ওপেন কার্ট
  • জেন-কার্ট

এর বাহিরে আপনি একদম স্কেচ থেকে ডিজাইন করতে পারেন। তবে, এই ধরণের ওয়েবসাইট তৈরির খরচ ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়। এর নিচে সাধারণত, পারফেক্ট সাইট হয় না, আর হলেও আপনার পছন্দমত হবে না। আর এই ধরণের সাইটের সিকিউরিটি থেকে শুরু করে নিয়মিত মেইনটেইনের জন্য একজন এক্সপার্ট রাখতে হবে। মূলত এই ধরণের সাইট অ্যামাজন, আলীবাবা, দারাজের মত কোম্পানিরা তৈরি করেছে। আপনিও চাইলে করতে পারেন যদি বাজেট থাকে।

কিন্তু আপনি যদি সিএমএস ব্যবহার করেন মানে উ-কমার্স/ওয়ার্ড-প্রেস, ম্যাজেন্টা, ওপেন কার্ট, জেন-কার্ট আরকি। তাহলে, খরচ অনেক কম হবে। এক্ষেত্রে আমি বলবো উ-কমার্স তথা ওয়ার্ড-প্রেস ব্যবহারের জন্য। সিএমএস ব্যবহার করে পারফেক্ট সাইট তৈরির খরচ সাধারণত ১৫ হাজার থেকে শুরু হবে। সিএমএস ব্যবহার করে সাইট তৈরির করার সময় কিছু বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।

ওয়েবসাইট থিম

যে ওয়েব ডিজাইনারকে দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করাবেন, তাকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন যে সে ফ্রি থিম দিয়ে সাইট তৈরি করে দিবে নাকি পেইড। যদি পেইড থিম হয় তাহলে, কোথা থেকে কিনবে সেটা জেনে নিবেন।

সাধারণত, ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য থিম কেনার জনপ্রিয় এবং ভাল সাইট হল থিমফরেস্ট। পেইড থিমের ক্ষেত্রে থিমফরেস্টের Purchase Code দিয়েছে কিনা এবং ভবিষ্যতে আপডেট পাবেন কিনা তা চেক করে নিবেন।

অনেক সময় প্রতারকরা, মাত্র ১৫০০ বা ৩,০০০ হাজার টাকায় ওয়েবসাইট বানানোর কথা বলে সাইট তৈরি করে দেয়। কিন্তু, তারা সাধারণত, Null বা GPL দিয়ে সাইট বানিয়ে দেয়। GPL এর ক্ষেত্রে কোন আপডেট পাওয়া যায় না ফলে ভবিষ্যতে সাইট ডাউন হয়ে যেতে পারে। আর Null হলে তো আপনি শেষ। ভাইরাস কিংবা অ্যাড স্ক্রিপ্ট যুক্ত থাকে এই ধরণের সাইটে। যেকোনো সময় সাইট হ্যাক হয়ে যেতে পারে কিংবা অযথা অ্যাডও দেখাতে পারে।

কি কি সুবিধা দিবে?

  • ওয়েব ডেভেলপার কি পরিমাণ কাস্টমাইজেশন করে দিবে?
  • গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত করে দেয়া ও বেসিক এসইওগুলো করে দিবে কিনা?
  • কত মাস সাপোর্ট দিবে?
  • আপনাকে মেইটেইন এবং প্রোডাক্ট আপলোড দেয়া শিখিয়ে দিবে কিনা ইত্যাদি।
  • মোটামুটি এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে সর্তক থাকলেই হবে।

৩| লেনদেন ও পেমেন্ট গেটওয়ে

সাইট তৈরির-পর গ্রাহক পেমেন্ট কিভাবে করবে, সেই ব্যবস্থা করাটা জরুরি। আপনি চাইলে ক্যাশঅন ডেলিভারিরে ব্যবস্থা করতে পারেন। এছাড়া, ডিজিটাল পেমেন্টের পদ্ধতিও রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে, ওয়ার্ড-প্রেসে আপনি বেশি সুবিধা পাবেন। আপনি চাইলে ফ্রি প্লাগিন ব্যবহার করে নগদ, বিকাশ, রকেটে পেমেন্ট নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে গ্রাহককে ম্যানুয়ালি পেমেন্ট করতে হবে।
আপনি চাইলে, পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে পারেন। নতুন ই-কমার্সের ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে গেটওয়ে কেনা খুব বেশি জরুরি নয়। তারপরেও নিচে কিছু পেমেন্ট গেটওয়ে দিলাম:
  • Sslcommerz
  • Easypayway.com
  • Shurjopay.com
  • sManager

৪| নিরাপত্তা

ওয়ার্ড-প্রেস ওয়েবসাইট হলে, কোড সম্পর্কিত নিরাপত্তার ব্যাপারে ওয়ার্ড-প্রেস নিজেই চিন্তা করবে। আপনাকে অবশ্য চিন্তা করতে হবে, হোস্টিং সিপ্যানেল, ইমেইল, ওয়ার্ড-প্রেস ড্যাশ-বোর্ড লগইন পাসওয়ার্ড নিয়ে। সেক্ষেত্রে, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের উদাহরণ: A@eyPass%OnE$tro9

মূলত পাসওয়ার্ডে সিম্বল, নাম্বার ও ক্যাপিটাল লেটার ও স্মল লেটারের সমন্বয় রাখাটাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের উদাহরণ।

এছাড়া, DDoS অ্যাটাক বা সাইট ডাউন হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাইটটি Cloudflare এর সাথে ইন্ট্রিগেট করে রাখতে পারেন। আরও কিছু নিরাপত্তার বিষয় আছে, যেগুলো গুগলে বিস্তারিত পাবেন।

পরিশেষে

ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি নিয়ে এই ছিল আজকে সংক্ষিপ্ত লেখা। আশা করি, লেখাটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি ই কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে যদি আরো কিছু জানার থাকে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।

পোস্ট টি প্রথম প্রকাশিতঃ আমাদের সাইটে

যেকোনো মোবাইল রিভিউ দেখে আসুনঃ আমাদের সাইটে

আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে আগামী পোস্ট এ।

ভালো থাকুন।আল্লাহ হাফেজ।

Add Comment