হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটির সদস্যরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন। আজ নেটওয়ার্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি ডিভাইসের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো। অনেকে জানেন এ বিষয়ে। তারপরেও যারা জানেনা তাদের জন্যই আজকের টিউন। আশাকরি ভালো লাগবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
নেটওয়ার্ক আমাদের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জরিত। এক ঘন্টা নেটওয়ার্ক না থাকলে পুরো পৃথিবীর লোক পাগল হয়ে যাবে। যাই হোক সেটা আসল কথা না। এই নেটওয়ার্ক এর সাথে সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি ডিভাইস রয়েছে যা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান থাকা জরুরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১.নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ডঃ
কোন ডিভাইসকে যেমন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন কে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করতে এক বিশেষ ধরনের কার্ড ব্যবহার করা হয় এই কার্ডকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা নিক(NIC – Network Interface Card) বলে। এই কার্ডটি কে সংক্ষেপে নেটওয়ার্ক কার্ড বা ল্যান কার্ড ও বলা হয়। কিছু কিছু সময় একে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলার ও বলা হয়।
এই কার্ডটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে সাথে যুক্ত করে। পূর্বের সময়কালের কম্পিউটারগুলোকে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করতে এটাকে এক্সপানশন স্লটে বসাতে হতো। তবে বর্তমানে যে সকল কম্পিউটার আমরা দেখতে পাচ্ছি সেগুলোতে এই কার্ড বিল্ড-ইন অবস্থায় থাকে। তাই আমাদেরকে নতুন করে কোন কার্ড বসানোর প্রয়োজন পড়ে না।
এই কার্ড এর একটি বৈশিষ্ট্য আছে আর তা হলো এই কার্ডে ৪৮ বিটের একটি অদ্বিতীয় কোড বা ক্রমিক নম্বর থাকে যার ফলে একটি কার্ডের সাথে অপর একটি কার্ডের কখনোই মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এই ক্রমিক নম্বর কে ম্যাক এড্রেস হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়।
এই ম্যাক অ্যাড্রেস সংরক্ষণ করতে রম ব্যবহার করা হয়। নেটওয়ার্কিং করার সময় নেটওয়ার্ক কার্ডে একটি আইপি এড্রেস দিতে হয়। এই কার্ড দুই ধরনের একটি হচ্ছে ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক কার্ড আরেকটি হচ্ছে ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক কার্ড।
২. মডেমঃ
মডেম এমন এক ধরনের ডিভাইস যা কখনো ইনপুট আবার কখনো আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মডুলেটর ডিমডুলেটর শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মডেম। যে ডিভাইস ডিজিটাল সংকেত কে অ্যানালগ সংকেত এ পরিবর্তন করতে পারে তাকে মডুলেটর বলে। অবশ্য এ কাজের জন্য এতে একটি চিপ বা সার্কিট ব্যবহার করা হয় যার নাম ডেক (DAC-Digital to Analog Converter)।
একই রকমভাবে ডিমডুলেটর হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যা অ্যানালগ সংকেত কে ডিজিটালে পরিণত করতে পারে এবং এই কাজের জন্য এতে একটি চিপ বা সার্কিট ব্যবহার করা হয় যার নাম ডেক (ADC- Analog to Digital Converter)। আর মডেম হচ্ছে এমন একাটি ডিভাইস যাতে মডুলেটর এবং ডিমডুলেটর দুটোই থাকে।
যে কম্পিউটার থেকে তথ্য প্রেরণ করা হবে তার সাথে যুক্ত মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সংকেত কে এনালগ সংকেত এ পরিণত করে। তারপর টেলিফোন যোগাযোগব্যবস্থা দ্বারা গ্রাহকের নিকট তথ্য পৌঁছে দেয়। আর টেলিফোন লাইনের উপযোগীতার জন্যই ডিজিটাল সংকেত কে এনালগ সংকেত এ পরিবর্তন করা হয় এবং এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে মডুলেশন বলা হয়।
যে কম্পিউটার তথ্য গ্রহণ করবে তার সাথে যুক্ত মডেম টেলিফোন লাইনের অ্যানালগ সংকেত কে আবার ডিজিটাল সংকেত এ পরিণত করে এবং তা কম্পিউটারের ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। এইভাবে টেলিফোন লাইন থেকে পাওয়া অ্যানালগ সংকেত কে ডিজিটালে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে ডিমডুলেশন বলা হয়।
কাজেই আমরা বলতে পারি যে, যে ডিভাইস প্রয়োজনের খাতিরে কখনো মডুলেটর অথবা কখনো ডিমডুলেটর হিসেবে কাজ করে তাকে মডেম বলা হয়।
মডেমের প্রকারভেদঃ
আমরা সাধারণত চার ধরনের মডেম এর ব্যবহার দেখতে পাই। যথা-
১.অনবোর্ড মডেম,
২.ইন্টারন্যাল মডেম,
৩.রিমুভ্যাবল মডেম এবং
৪.এক্সটারনাল মডেম।
নিচে এদের প্রত্যেকের সম্পর্কে সামান্য আলোচনা করা হলোঃ
অনবোর্ড মডেমঃ
ডিভাইস এর মূল বোর্ডে যে মডেম বিল্ড ইন অবস্থায় থাকে তাকে অন বোর্ড মডেম বলে। বর্তমানের প্রায় অধিকাংশ ডিভাইস যেমন- ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাব ইত্যাদিতে এই মডেম বিল্ডিং অবস্থায় থাকে। এই মডেমটা বাহ্যিকভাবে দেখতে পাওয়া কোন মডেম নয় তবে তা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আকারে মাদারবোর্ডে থাকে।
ইন্টারন্যাল মডেমঃ
কম্পিউটার বা অন্য কোন যন্ত্রে এক্সপানশনস স্লটে যেমন- পিসিআই স্লটে লাগানোর উপযোগী বিশেষ ধরনের কার্ড যা ইন্টারন্যাল মডেম নামে পরিচিত। এই মডেমটা সাধারণত দেখতে নিচের চিত্রের মত হয়।
রিম্যুভেবল মডেমঃ
যে মডেম সহজেই ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ খুলে নিতে বা লাগাতে কোন সমস্যা হয় না অর্থাৎ কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টের সংযোগ উপযোগী বিশেষ মডেম যা সহজেই বিচ্ছিন্ন করা যায়। মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই মডেম এর সাহায্যে যখন খুশি তখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া যায়। সাধারণত সুবিধাবাদী কম্পিউটার ব্যবহারকারী গণ এই রিমুভেবল মডেম ব্যবহার করে।
এক্সটার্নাল মডেমঃ
ইউএসবি পোর্ট বা সিরিয়াল পোর্টে ক্যাবলের সাহায্যে সংযোগ উপযোগী বিশেষ ধরনের মডেমকে এক্সটার্নাল মডেম বলে যা কম্পিউটারসহ অন্য কোন যন্ত্রের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই এক্সটার্নাল মডেম অনেক ধরনের হতে পারে যেমন ফাইবার অপটিক ক্যাবল মডেম, ওয়ারলেস মডেম, ডিএসএল মডেম ইত্যাদি।
ডেটার আদান-প্রদানে মডেম এর ব্যবহারঃ
ডেটা বা তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থার জন্য অনেক রকমের মাধ্যম রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে টেলিফোন লাইন এবং মাইক্রোওয়েভ এর কথা বলা যায়। টেলিফোন লাইনের কথা বললে এর মধ্য দিয়ে এনালগ সংকেত ছাড়া অন্য কোন সংকেত আদান-প্রদান হয় না। কিন্তু কম্পিউটারে যেসব তথ্য থাকে তা প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল সংকেত থাকে। ফলে টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে ডাটা আদান-প্রদান করতে গেলে প্রেরকের ক্ষেত্রে ডেটাকে ডিজিটাল সংকেত থেকে অ্যানালগ সংকেতে এবং গ্রাহকের ক্ষেত্রে এনালগ সংকেত কে ডিজিটালে সংকেতে পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। মডেম এ দুটি কাজের দুটোই করতে পারে। ফলে প্রেরক এবং প্রাপক যন্ত্রে মডেম থাকলে এর মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করা সম্ভব। তাই আমরা প্রেরক ও প্রাপক উভয় প্রান্তে মডেম ব্যবহার করে থাকি।
৩.হাবঃ
যে ডিভাইস দুই বা তারও অধিক ডিভাইসগুলোকে একত্রে সংযুক্ত করতে পারে তাকে হাব বলে। এটি এক ধরনের নেটওয়ার্কিং ডিভাইস। ডিভাইস বলতে সাধারণত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদিকে বোঝাচ্ছি। স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিভ ডিভাইস হিসেবে হাব ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে।
হাবে প্রেরিত সিগন্যাল গ্রহণ করার পর তা একই সাথে এর সাথে সংযুক্ত সকল কম্পিউটারে পাঠায় এবং সিগন্যাল ব্রডকাস্ট করে। দুই এর অধিক পোর্ট যুক্ত রিপিটারকেও হাব বলা জেতে পারে। হাবের ক্ষমতা কম্পিউটারের সংযোগ সংখ্যার উপর নির্ভর করে। কাজের উপর ভিত্তি করে হাব কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. সক্রিয় হাব ও
২. নিষ্ক্রিয় হাব।
সক্রিয় হাবঃ
যে হাব সংকেত এর গুণগত মান বৃদ্ধি করতে পারে এবং মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় সংকেত কে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় সংকেত প্রেরণ করতে পারে তাকে সক্রিয় হাব বলে। এইরকম অধিক ক্ষমতা যুক্ত হাবকে অনেক সময় ইন্টেলিজেন্ট হাব বলা হয়ে থাকে।
নিষ্ক্রিয় হাবঃ
যে হাব কম্পিউটার সমূহেরর মধ্যে কেবলমাত্র তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তাকে নিষ্ক্রিয় হাব বলে। এটি সংকেত এর মান বৃদ্ধি করে না। এ কারণে এরকম হাবকে কোন একটি Active ডিভাইস এর সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়।
হাবের সুবিধাঃ
- হাব একাধিক মিডিয়াকে সংযুক্ত করতে পারে।
- এর দাম অন্যসব ডিভাইস এর চাইতে কম।
হাবের অসুবিধাঃ
- যেহেতু হাব সিগন্যাল ব্রডকাস্ট করতে পারে তাই নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
- সিগন্যাল কেবলমাত্র টার্গেট পোর্টে না গিয়ে সকল পোর্টেই যায়।
- ডেটার কলিশন বা সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে।
- ডেটার ফিল্টারিং বা পরিশ্রুতকরণ সম্ভব হয় না।
৪.নেটওয়ার্ক স্যুইচঃ
নেটওয়ার্ক স্যুইচ হাবের মতই একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা এর আওতাধীন একাধিক ডিভাইসকে সংযুক্ত করে। ডিভাইস বলতে কম্পিউটারে, স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদিকেই বুঝিয়েছি এখানে। হাব এবং স্যুইচ এর কাজ প্রায় একই।
হাবের কাছে প্রেরিত সিগন্যাল হাব সকল কম্পিউটারে পাঠায় কোন নির্দিষ্ট একটি কম্পিউটারে পাঠাতে পারে না। কিন্তু স্যুইচ এমন একটি ডিভাইস যা তার কাছে প্রেরিত সিগন্যাল শুধুমাত্র টার্গেট কম্পিউটারে পাঠায়। এ কারণেই স্যুইচকে ইন্টেলিজেন্ট ডিভাইস বলা হয়। এছাড়াও দুর্বল সিগন্যালকে বর্ধিত করে টার্গেট কম্পিউটারে পাঠাতে পারে স্যুইচ।
সুইচের সুবিধাঃ
- সিগন্যাল শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পোর্টে যায় ফলে ট্রাফিক তুলনামূলকভাবে কম হয়।
- ডেটার সংঘর্ষ বা কলিশনের সম্ভাবনা কমে যায়।
- ভার্চুয়াল LAN ব্যবহার করে ব্রডকাস্ট কন্ট্রোল করা যায়।
সুইচের অসুবিধাঃ
- হাবের তুলনায় দাম অপেক্ষাকৃত বেশি।
- ডেটার পরিশ্রুতকরণ বা ফিল্টারিং অসম্ভব।
- কনফিগারেশন তুলনামূলকভাবে জটিল প্রকৃতির।
৫.রাউটারঃ
বলা হয়ে থাকে রাউটার আর পোস্টম্যানের কাজ একই। পোস্টম্যান কে যদি গ্রাহকের কাছে সব ডকুমেন্ট পৌঁছে দিতে হয় তবে সব পথঘাট চিনতে হয়। ঠিক তেমনি রাউটার সকল নেটওয়ার্ক সেগমেন্টের হালনাগাদ খোঁজখবর রাখে।
সত্যি কথা বলতে রাউটার একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত উৎস কম্পিউটার থেকে গন্তব্য কম্পিউটারে ডেটা বা তথ্য পৌঁছে দেয়। ডেটার সমষ্টিকে ডেটার ব্লগ ডেটা প্যাকেট বলা হয়। সবচেয়ে কম দূরত্বের পথ ব্যবহার করে রাউটার ডেটার প্যাকেটগুলো পৌঁছে। Cisco কোম্পানি বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জিত করেছে রাউটার তৈরি করে।
রাউটারের সুবিধাসমুহঃ
- রাউটার ডেটা সংঘর্ষ বা কলিশন সম্ভাবনা কমিয়ে ফেলে।
- এখানে ব্রডকাস্ট ডেটা ফিল্টারিং বা পরিশ্রুতকরণ করা যায়।
- নানান ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন ইথারনেট, টোকেন, রিং ইত্যাদিকে সংযুক্ত করা যায়।
রাউটারের অসুবিধাসমুহঃ
- এটির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
- একই প্রটোকল ছাড়া রাউটার নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে না।
- এর কনফিগারেশন তুলনামূলকভাবে জটিল।
- অপেক্ষাকৃত ধীরগতিসম্পন্ন।
৬.গেটওয়েঃ
একটি নেটওয়ার্ককে আরেকটি নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত করার ডিভাইসের নাম হচ্ছে গেটওয়ে। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে যা করতে বিভিন্ন প্রটোকল গুলোকে জড়ো করতে হয়। একটি প্রটোকল এর সাথে অন্য একটি প্রটোকল যুক্ত করতে চাইলে গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে।
গেটওয়ের সুবিধাঃ
- গেটওয়ে ডেটার সংঘর্ষ বা কলিশন সম্ভাবনা কমায়।
- এর মাধ্যমে নানা রকম নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হতে পারে।
গেটওয়ের অসুবিধাঃ
- এটি ধীরগতি সম্পন্ন।
- এত কনফিগারেশন তুলণামুলক জটিল।
৭.রিপিটারঃ
নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত কম্পিউটারের মধ্যে দূরত্ব বেশি হলে কিংবা নেটওয়ার্কের বিস্তার বেশি হলে কেবল এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত সিগন্যাল বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই পুনরায় শক্তিশালী এবং আরও অধিক দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য যে ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে রিপিটার বলে। এটি সত্যিই ভৌত সংকেত নিয়ে কাজ করে এবং যে ডেটা প্রেরণ করা হয় তা কখনো অনুবাদ করে না।
রিপিটারের সুবিধাসমুহঃ
- অধিক দূরত্বে অবস্থিত কম্পিউটার এর মধ্যে সংযোগ রক্ষার্থে রিপিটার ডিভাইস টি ব্যবহার করা হয়।
- নেটওয়ার্কের ট্রাফিক বৃদ্ধি না করে ডেটা অ্যাম্পলিফাই বা শক্তিশালী করা যায় এবং সামনের দিকে প্রেরণ করতে কোন অসুবিধা হয় না।
- বিভিন্ন কমিউনিকেশন মিডিয়াকে সংযোগ করে।
রিপিটারের অসুবিধা সমুহঃ
- ডেটার কলিশন সম্ভাবনা বাড়ে।
- সীমিতসংখ্যক কম্পিউটার যুক্ত করতে পারা যায়।
তো বন্ধুরা আজকের মতো টিউন এ পর্যন্তই। আশাকরি ভালো লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে একটা জোসস দিয়ে আমাকে ধন্য করবেন। আর এর মধ্যে কোন ডিভাইসটা কেমন লেগেছে তা আমাকে টিউমেন্ট করে জানাতে পারেন। কথা হচ্ছে আবার পরবর্তী টিউনে। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।